ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে এতিমখানায় সহপাঠীর হাতে প্রাণ গেল এক ছাত্রের

 

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানায় মো. আশরাফুল শেখ (১২) নামে এক ছাত্রকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানা সংলগ্ন একটি বাগানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল শেখ (১২) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাফেজিয়ার আবাসিক ছাত্র ছিল।

গ্রেফতার ছাত্র হলো একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন (১৪)। সে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. তানভীর বিশ্বাস (১৪)। সে খুলনার বটিয়াঘাটার গাউঘরা গ্রামের রুস্তুম বিশ্বাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়. সোমবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানার শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন, মো. তানভীর বিশ্বাস ও মো. আশরাফুল শেখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি বাগানে গামছা দিয়ে গলাচিপা খেলতে খেলতে খেলতে মো. আশরাফুল শেখকে ওই দুই শিক্ষার্থী গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।

এরপর মরদেহ নিয়ে মাদরাসার পেছনে টয়লেটে রেখে দেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উঁচু দেয়ায়ের ওপর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিকে উক্ত মাদরাসার এক ছাত্রকে ঘটনাটি জানায়। সেই ছাত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ নাজমুল ইসলামকে জানান। এরপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ফকিরহাট থানা পুলিশকে অবগত করে।

এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোসা. ফাতেমা বেগম জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জানান যে তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে রাতে জানতে পারেন তার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুই শিশুশিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সবুজদেশ/এসইউ

বাগেরহাটে এতিমখানায় সহপাঠীর হাতে প্রাণ গেল এক ছাত্রের

Update Time : ০৮:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানায় মো. আশরাফুল শেখ (১২) নামে এক ছাত্রকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানা সংলগ্ন একটি বাগানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল শেখ (১২) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাফেজিয়ার আবাসিক ছাত্র ছিল।

গ্রেফতার ছাত্র হলো একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন (১৪)। সে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. তানভীর বিশ্বাস (১৪)। সে খুলনার বটিয়াঘাটার গাউঘরা গ্রামের রুস্তুম বিশ্বাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়. সোমবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ একাডেমি এতিমখানার শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন, মো. তানভীর বিশ্বাস ও মো. আশরাফুল শেখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি বাগানে গামছা দিয়ে গলাচিপা খেলতে খেলতে খেলতে মো. আশরাফুল শেখকে ওই দুই শিক্ষার্থী গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে।

এরপর মরদেহ নিয়ে মাদরাসার পেছনে টয়লেটে রেখে দেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উঁচু দেয়ায়ের ওপর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিকে উক্ত মাদরাসার এক ছাত্রকে ঘটনাটি জানায়। সেই ছাত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ নাজমুল ইসলামকে জানান। এরপর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ফকিরহাট থানা পুলিশকে অবগত করে।

এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোসা. ফাতেমা বেগম জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জানান যে তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে রাতে জানতে পারেন তার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুই শিশুশিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সবুজদেশ/এসইউ