বাগেরহাটের শরণখোলায় মহিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির পুকুরে পড়ে থাকা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুল্লাহ।
নিহত মহিমা ওই গ্রামের রুহুল পহলানের ছেলে সৌদি প্রবাসী ইসরাফিল পহলানের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে। তার ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
শশুর রুহুল পহলান জানান, তার পুত্রবধূ ভোররাতে প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যেতে পারে বলে তাদের ধারণা।
নিহতের মা মিনারা বেগম জানান, জামাই সৌদি আরবে থাকায় তার মেয়ে নাতিকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। শশুর ও শাশুড়ি প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন। তিনি অভিযোগ করেন, শ্বশুর-শাশুড়ি মেরে তার মেয়েকে পুকুরে ফেলে রেখেছে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আশফাক হোসেন জানান, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মহিমা বেগমকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।
শরণখোলা থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সবুজদেশ/এসইউ