ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

Reporter Name

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই আশংকায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেরায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। করোনার কারনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলার ৩৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার উপযোগী পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

একই সাথে জেলা উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম ও রেডক্রিসেন্ট-সিপিপিসহ স্বেচ্চাসেবকরা। মোংলা বন্দর কর্র্তপক্ষও ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের আউটার এ্যংকরেজে অবস্থানরত জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ চললেও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বন্দরের পন্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো এবার আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে। জেলা দূর্যোগ ব্যবস্তাপনা কমিটির জরুরী সভা করে এব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০
২৮৩ Time View

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই আশংকায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেরায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। করোনার কারনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলার ৩৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার উপযোগী পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

একই সাথে জেলা উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম ও রেডক্রিসেন্ট-সিপিপিসহ স্বেচ্চাসেবকরা। মোংলা বন্দর কর্র্তপক্ষও ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের আউটার এ্যংকরেজে অবস্থানরত জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ চললেও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বন্দরের পন্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেঁয়ে আসার খবরে রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো এবার আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে। জেলা দূর্যোগ ব্যবস্তাপনা কমিটির জরুরী সভা করে এব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।