বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত, ভেঙেছে কাঁচা ঘরবাড়ি
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাটের কয়েকটি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধ ও রাস্তা ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পুকুর, মাছের ঘের ও বসতঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া কয়েকটি স্থানে কাঁচা ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও জেলা প্রসাশন সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে জেলার কোথাও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
স্থানীয়রা জানান, শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে বলেশ্বর নদীর পানির চাপে বগি এলাকার এই বাঁধ ভেঙে যায় বলে শরণখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তাফা শাহীন জানান।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ হোল্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আর কিছু অংশের উপর দিয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া ৫ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীর পানি বেড়ে রাস্তার কয়েকটি স্থান ভেঙে বৈটপুর, ভদ্রপড়া,চরগ্রাম এলাকার মাছের ঘের ও বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। ভাঙা স্থান দিয়ে পুনরায় জোয়ারের পানি ঢুকে আবারও লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভদ্রপাড়া এলাকার বাদশা শেখ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবের ভিতর হঠাৎ ঘরে পানি উঠে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাঁধ ভেঙে গেছে। পরে এলাকাবাসি স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুল ভবনে আশ্রয় নেয়। এই এলাকার অনেক মাছের ঘের ও বাড়ি ঘর এখনও পনির নিচে রয়েছে বলে তিনি জানান।
গোটাপাড়া ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের খান ফিরোজুল ইসলাম জানান, তার মাছের ঘের ভেসে গেছে। সাথে পানিতে ডুবে প্রায় দুই হাজার মুরগি মারা গেছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙা অংশে কাজ শুরু করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আম্পানে প্রভাবে বাগেরহাটে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া কয়েকটি স্থানে বেরিবাঁধ, কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙেছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।