ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে সাবেক এসপি ও ৩ এমপিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

 

বাগেরহাটে সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগেরহাটের খাদ্দার এলাকার মৃত শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির।

এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো. ফারুক হোসেন বাদল, দোলন মোল্লা, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন লিটন, ফারুক তালুকদার, নকিব নজিবুল হক নজু।

মামলার বরাত দিয়ে ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আলমগীর কবির জানান, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশে আসামিরা গত ৪ আগস্ট  দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ও ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হত্যার উদ্দেশে একাধিকগুলি ছোঁড়ে। এছাড়া বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একটি ব্যালট- একটি বুলেটসহ নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

তিনি আরও জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন আসামি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাদেরও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

বাগেরহাটে সাবেক এসপি ও ৩ এমপিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা

Update Time : ১২:২৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বাগেরহাটে সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগেরহাটের খাদ্দার এলাকার মৃত শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির।

এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো. ফারুক হোসেন বাদল, দোলন মোল্লা, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন লিটন, ফারুক তালুকদার, নকিব নজিবুল হক নজু।

মামলার বরাত দিয়ে ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আলমগীর কবির জানান, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশে আসামিরা গত ৪ আগস্ট  দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ও ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হত্যার উদ্দেশে একাধিকগুলি ছোঁড়ে। এছাড়া বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একটি ব্যালট- একটি বুলেটসহ নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

তিনি আরও জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন আসামি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তাদেরও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

সবুজদেশ/এসইউ