বাঘারপাড়া থেকে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধা আসলেন কালীগঞ্জ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাঘারপাড়ায় আরো একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা; উপজেলার পাঠান পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার দুপুরে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধার বাড়িসহ পাশাপাশি দুই ইউনিয়নের ২০ বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে এ উপজেলায় দুই যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সুস্থতার ছাড়পত্র পেলেও অপরজন করোনাভাইরাসমুক্ত হননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ওই বৃদ্ধার শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর না থাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয় বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় ভোটার তালিকা ধরে তাকে খুঁজে বের করা হয়। এ ঘটনায় বন্দবিলা ইউনিয়নের পাঠান পাইকপাড়ার দক্ষিণপাড়ার ওই বৃদ্ধার বড় ছেলের বাড়িসহ ১৪ বাড়ি ও নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের খানপাড়া এলাকার বৃদ্ধার মেজো ছেলের বাড়িসহ ছয় বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আক্রান্ত বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন জানান, পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখান থেকে করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় গতকাল রাতে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাস শনাক্তের পরও ওই বৃদ্ধা অবাধ চলাফেরা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে না জানিয়ে শনিবার সকালে পায়ের চিকিৎসার জন্য ইজিবাইক ভাড়া করে তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ঘিঘাটি এলাকায় সাত্তার নামে এক ‘ফকিরের’ বাড়ি গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার মেজো ছেলে।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘‘আক্রান্ত বৃদ্ধার বাড়ি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ঘিঘাটি এলাকায় সাত্তার নামে ওই ‘ফকিরের’ বাড়ি লকডাউন ঘোষণার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেখবেন। এ ব্যাপারে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। মানুষ সচেতন না হলে আরো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে।’
এদিকে খুলনা বিএল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বাঘারপাড়া স্বর্ণপট্টি এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের শরীরের নমুনা করে ফের শনিবার ফের করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। তৃতীয়বারের মতো তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরিফুল ইসলাম।
এর আগে উপজেলার পশ্চিমা গ্রামের এক যুবককে ‘করোনামুক্তির’ ছাড়পত্র দেওয়া হয়।