বাঘের চামড়াসহ সুন্দরবনের চোরা শিকারি গ্রেফতার - ছবি : সংগৃহীত

বাগেরহাটঃ

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন ব্নবিভাগ ও র‌্যাব-৮-এর সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের চামড়াসহ এক চোরা শিকারিকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শরণখোলা সদরের রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত চোরা শিকারির নাম মো: গাউস ফকির। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের রশিদ ফকিরের ছেলে।

বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সুন্দরবন বিভাগ ও র‌্যাব-৮ যৌথভাবে এ তথ্য জানান। পরে বন আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার চোরা শিকারিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, পেশাদার চোরা শিকারি গাউস ফকির সুন্দরবন থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হত্যা করে চামড়া নিয়ে তা বিক্রির জন্য ক্রেতার অপেক্ষায় ছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর র‌্যাব-৮-এর সহযোগিতায় ক্রেতা সেজে গোপনে শনিবার থেকে চার দিন ধরে ওই শিকারির সাথে যোগাযোগ করা হয়। ওই শিকারি চামড়াটির দাম চান ১৭ লাখ টাকা। পরে ১৩ লাখ টাকায় ঠিক হয় চামড়াটির দাম। ওই শিকারিকে বাঘের চামড়া বাবদ পুরা ১৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দেয়। পরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাঘের চামড়াটি একটি বস্তায় ভরে শরণখোলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। এ সময় র‌্যাব ও বনবিভাগের সদস্যরা তাকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা চামড়াটি আট ফুট এক ইঞ্চি চওড়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরা শিকারি গাউস ফকির জানান, কয়েক মাস আগে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহিদুল নামের আরেক চোরা শিকারিকে নিয়ে বাঘটি হত্যা করেন। কারণ তিনি জানতেন বাঘের চামড়া চোরা বাজারে চওড়া দামে বিক্রি করা যায়।

এ দিকে বন আইনে বাঘ হত্যা ও বন্যপ্রাণীর চামড়া বেচা-কেনায় জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার চোরা শিকারি গাউস ফকিরের সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের করাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here