ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারে মদ খেয়ে যা করলো বিএনপি ও যুবদল নেতা!

 

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় খাওয়া মদের টাকা চাওয়ায় ৩ কর্মচারীকে মারধরসহ বার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ৪ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ‘হ্যান্ডি কড়াই বার’-এ এই ঘটনায় পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কর্মচারীরা। 

অভিযুক্তরা হলেন, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য ইউসুফ ঘরামি, কুয়াকাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল মিয়াজি, কুয়াকাটার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হাসান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মিরাজ হাওলাদার। আহতরা হলেন, কর্মচারী ইউসুফ, বাবু ও নূরআলম।

আহত কর্মচারী ইউসুফ বলেন, মদ খেয়ে টাকা না দিয়ে তারা চলে যাচ্ছিলেন। এসময় আমাদের একজন কর্মচারী মদের টাকা চাইলে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে মারধর করে। এসময় তারা বারের বিভিন্ন চেয়ার-টেবিল ও গ্লাস ভাঙচুর করে। বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ওই ৪ জনকে আটকে রাখতে বলেন।

পরে তাদের বারে আটকে রেখে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তারা বারে এসে টাকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর থেকে কর্মচারীরা পালিয়ে বেড়ানোর কারণে বার বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী বলেন, তাদের এসব কর্মকান্ডে দলের বদনাম হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দখল-বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতি মিয়া প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।

Tag :
About Author Information

বারে মদ খেয়ে যা করলো বিএনপি ও যুবদল নেতা!

Update Time : ১০:০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় খাওয়া মদের টাকা চাওয়ায় ৩ কর্মচারীকে মারধরসহ বার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ৪ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ‘হ্যান্ডি কড়াই বার’-এ এই ঘটনায় পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কর্মচারীরা। 

অভিযুক্তরা হলেন, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য ইউসুফ ঘরামি, কুয়াকাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল মিয়াজি, কুয়াকাটার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হাসান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য মিরাজ হাওলাদার। আহতরা হলেন, কর্মচারী ইউসুফ, বাবু ও নূরআলম।

আহত কর্মচারী ইউসুফ বলেন, মদ খেয়ে টাকা না দিয়ে তারা চলে যাচ্ছিলেন। এসময় আমাদের একজন কর্মচারী মদের টাকা চাইলে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে মারধর করে। এসময় তারা বারের বিভিন্ন চেয়ার-টেবিল ও গ্লাস ভাঙচুর করে। বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ওই ৪ জনকে আটকে রাখতে বলেন।

পরে তাদের বারে আটকে রেখে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তারা বারে এসে টাকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর থেকে কর্মচারীরা পালিয়ে বেড়ানোর কারণে বার বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী বলেন, তাদের এসব কর্মকান্ডে দলের বদনাম হচ্ছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দখল-বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতি মিয়া প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।