ঢাকাঃ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও বাসের সব আসনে যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ৬০ ভাগ ভাড়াও বাতিল করা হবে।

বুধবার বিআরটিএর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বুধবার বিকালে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি, ডিএমপি, হাইয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিআরটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে ঢাকা শহরে ব্যাটারি চালিত রিকশা আর হাইওয়েতে নসিমন পরিবহন ভটভটির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে ডিএমপিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এর আগে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাস ও মিনিবাসে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করার শর্তে গত ১ জুন থেকে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশে সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৩ হাজার ৭৮১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

একই সময়ে ২ হাজার ৭৪৭ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ব্যাংক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার নির্দেশ

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান রোস্টারিং পদ্ধতি বাদ দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে আগের মতো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুক্র ও শনিবার বাধ্যতামূলক ছুটি রাখার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকিং খাতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধে বিশেষ পরিস্থিতিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরবচ্ছিন্ন জরুরি ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতকরণ, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা জোরদার করা, রোস্টারিং এর মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন ছুটি প্রদান, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা স্বাভাবিক করার উদ্দেশে নতুন করে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেগুলো হলো ব্যাংকসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ঝুঁকিপূর্ণ, করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীগণ চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করে অফিসে আগমন থেকে বিরত থাকবেন। আর ব্যাংকগুলোর সান্ধ্যকালীন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটিকালীন শুক্রবার ও শনিবার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে পূর্বের মতো পরিচালিত হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here