বাড়ির কেয়ারটেকার হয়ে গেলেন জমি মালিক!
কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া এলাকার নইমুদ্দীন মোল্লার ৫৩ শতক পৈত্রিক সম্পত্তির বসত বাড়ি ও জমি দেখাশোনা দায়িত্বরত কেয়ারটেকার এলাকার প্রভাবশালী মজিদ মুন্সী, খলিল মুন্সী ও সাত্তার মুন্সীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে গেছে।
বিষয়টির সমাধান না পেয়ে এঘটনায় গত, ২৬/১২/ ২০১৯ তারিখে নইমুদ্দীন মোল্লা কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,আমার পরিবার বর্গকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতে থাকি। আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে একই এলাকার অভিযুক্ত মজিদ মুন্সীকে বসবাস করতে বলি ও আমার বসত বাড়ি ও জমি দেখাশোনা দায়িত্বরত কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতে বলি। মাঝে মধ্যে আমি ঢাকা থেকে এসে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করে দুই এক থেকে আবার ঢাকায় ফিরে যায়। তারপর বেশ কিছুদিন ধরে বসত বাড়ি ও জমি দেখতে না আসায় আমাকে কিছু না জানিয়ে এর সুযোগে হঠাৎ করেই মজিদ মুন্সী তার দুইভাই খলিল মুন্সী ও সাত্তার মুন্সীর জমিতে কয়েকটি ঘর স্থাপন করেন। এছাড়া এই জমিতে আমার লাগানো ১৫টি গাছ কেটে ফেলে অন্যত্র বিক্রয় করে দেয়।গাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। অভিযুক্ত মজিদ মুন্সীর কাছে জানতে চাই গাছ বিক্রয় কেনো করলেন? উল্টা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি পুর্নরায় আমার পৈত্রিক জমিতে ঘর তৈরী করি ও গাছ রোপন করি। যা আমার অবর্তমানে অভিযুক্তরা জোর করে আমার তৈরী ঘর ভেঙ্গে ফেলে ও গাছ গুলো উপরে ফেলে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে মজিদ মুন্সীর লোকজন। তাই আমার পরিবার ও নিজের জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছি।
নইমুদ্দীন মোল্লা বলেন, এই ৫৩ শতক জমি আমার পত্রিক সম্পত্তি। আমি ও আমার পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় থাকি। মজিদ মুন্সীকে আমার ঘরবাড়ি ও জায়গায় জমি দেখাশোনা করতে ও তাদের থাকার জায়গা না থাকায় থাকতে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে হাত মিলিয়ে আমার ঘরবাড়ি ও জায়গায় জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আমি বিচার দিলে অভিযুক্ত মজিদ মুন্সীরা কেউ হাজির হচ্ছে না। আমি এদের বিচার চাই ও আমার বাবা দাদার ভিটা ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মজিদ মুন্সীর সাথে কথা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোমিন বলেন, আসলেই বিষয়টি দুঃখজনক। ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে এ ব্যাপারে মজিদ মুন্সী ও তাদের ভাইদের বার বার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাজির হতে বললে তারা কেউ পরিষদে আসেনি। বার বার শুধু সময় নিয়েছেন। তবে আমি নিজে ওই এলাকায় সালিশ বৈঠক বসিয়ে ছিলাম। মজিদ মুন্সী ও তার ভাইয়েরা তাদের দখলকৃত ওই জমির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে মহামান্য আদালতে মামলায় চলায় এ ব্যাপারে সমাধাণ দিতে পারছি না। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই সমাধাণ হবে।