ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওয়াসিমকে হত্যা করেছে। এমনকি হত্যার পর তার লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। পরে শুক্রবার লাশ ভেসে উঠলে তারা সেটি নিয়ে যায়।

নিহত ওয়াসিম উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার পথে নদীতে লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে লাশ নদীতে থাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার নাম পরিচয় অজানা ছিল। পরে ওয়াসিমের সঙ্গীরা এটি তার লাশ বলে জানায়।

ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, তিন থেকে চারদিন ধরে আমার ভাই নিখোঁজ। মাঝে মধ্যে তিনি ভারতে যাতায়াত করত বলে শুনেছি। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ফেরার সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ওয়াসিম ধরা পড়েন। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।

ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী শুক্রবার রাতে বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি নদীতে ভাসতে থাকা লাশটি আমার ছেলের।’ তিনি দ্রুত লাশটি উদ্ধারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে খালিশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘লাশটি ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে ভাসমান থাকায় বিএসএফ সেটি নিয়ে হেছে। লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি লাশ পড়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।

সবুজদেশ/এসইউ

জনপ্রিয়

ঝিনাইদহ সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

Update Time : ০১:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওয়াসিমকে হত্যা করেছে। এমনকি হত্যার পর তার লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। পরে শুক্রবার লাশ ভেসে উঠলে তারা সেটি নিয়ে যায়।

নিহত ওয়াসিম উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার পথে নদীতে লাশ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে লাশ নদীতে থাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার নাম পরিচয় অজানা ছিল। পরে ওয়াসিমের সঙ্গীরা এটি তার লাশ বলে জানায়।

ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, তিন থেকে চারদিন ধরে আমার ভাই নিখোঁজ। মাঝে মধ্যে তিনি ভারতে যাতায়াত করত বলে শুনেছি। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ফেরার সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ওয়াসিম ধরা পড়েন। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।

ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী শুক্রবার রাতে বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি নদীতে ভাসতে থাকা লাশটি আমার ছেলের।’ তিনি দ্রুত লাশটি উদ্ধারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে খালিশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘লাশটি ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে ভাসমান থাকায় বিএসএফ সেটি নিয়ে হেছে। লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি লাশ পড়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।

সবুজদেশ/এসইউ