ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকাশ, নগদ ও রকেটে থাকা গ্রাহকের টাকা ব্যবহারে মানা

Reporter Name

ঢাকাঃ

এখন থেকে বিকাশ, নগদ ও রকেটে থাকা গ্রাহকের টাকা ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ফোনের আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ট্রাস্ট ফান্ড ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকের জমা টাকার পুরোটাই ব্যাংকে ‘ট্রাস্ট ফান্ড’ হিসাবে জমা রাখতে হবে। এ ফান্ডে জমা টাকা কোনোভাবেই গ্রাহকের এমএফএস হিসাবে জমা থাকা টাকার চেয়ে কম হতে পারবে না। আর এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের জমা টাকার বিপরীতে যে ই-মানি ইস্যু করে, তার পরিমাণও কোনোভাবেই জমা টাকার বেশি হতে পারবে না। ‘গাইডলাইনস ফর ট্রাস্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস’ শীর্ষক নীতিমালার আলোকে এখন থেকে এমএফএস প্রতিষ্ঠান, আইপে, ডি মানি, এসএসএল কমার্সের মতো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকের বাইরে এমন প্ল্যাটফর্মে দিন শেষে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা জমা থাকে গ্রাহকের। এর বিপরীতে কেউ কেউ গ্রাহকদের সুদ দিচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা উচ্চ সুদে কেউ ব্যাংকে আবার কেউ অন্যত্র রাখছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে হবে। এ জন্য তফসিলি যেকোনও ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব খুলতে হবে। এই হিসাবে গ্রাহকের জমা করা পুরো টাকা থাকতে হবে। এই টাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদিত একটি অংশ সরকারি বিল-বন্ড, স্থায়ী আমানতে রাখা যাবে। এই বিনিয়োগ থেকে যে সুদ আসবে, তা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন খরচ, সরকারি মাশুল, গ্রাহক সচেতনতা খাতে ব্যবহার করতে পারবে। এই সুদ আয় থেকে গ্রাহকদেরও ভাগ দিতে হবে। ট্রাস্ট ফান্ডের বিপরীতে কেউ সরাসরি ঋণ বা ঋণসুবিধা নিতে পারবে না।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
৮৭০ Time View

বিকাশ, নগদ ও রকেটে থাকা গ্রাহকের টাকা ব্যবহারে মানা

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

ঢাকাঃ

এখন থেকে বিকাশ, নগদ ও রকেটে থাকা গ্রাহকের টাকা ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকা অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ফোনের আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ট্রাস্ট ফান্ড ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক নীতিমালায় এ কথা বলা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকের জমা টাকার পুরোটাই ব্যাংকে ‘ট্রাস্ট ফান্ড’ হিসাবে জমা রাখতে হবে। এ ফান্ডে জমা টাকা কোনোভাবেই গ্রাহকের এমএফএস হিসাবে জমা থাকা টাকার চেয়ে কম হতে পারবে না। আর এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের জমা টাকার বিপরীতে যে ই-মানি ইস্যু করে, তার পরিমাণও কোনোভাবেই জমা টাকার বেশি হতে পারবে না। ‘গাইডলাইনস ফর ট্রাস্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস’ শীর্ষক নীতিমালার আলোকে এখন থেকে এমএফএস প্রতিষ্ঠান, আইপে, ডি মানি, এসএসএল কমার্সের মতো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংকের বাইরে এমন প্ল্যাটফর্মে দিন শেষে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা জমা থাকে গ্রাহকের। এর বিপরীতে কেউ কেউ গ্রাহকদের সুদ দিচ্ছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো এই টাকা উচ্চ সুদে কেউ ব্যাংকে আবার কেউ অন্যত্র রাখছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে হবে। এ জন্য তফসিলি যেকোনও ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব খুলতে হবে। এই হিসাবে গ্রাহকের জমা করা পুরো টাকা থাকতে হবে। এই টাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুমোদিত একটি অংশ সরকারি বিল-বন্ড, স্থায়ী আমানতে রাখা যাবে। এই বিনিয়োগ থেকে যে সুদ আসবে, তা প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন খরচ, সরকারি মাশুল, গ্রাহক সচেতনতা খাতে ব্যবহার করতে পারবে। এই সুদ আয় থেকে গ্রাহকদেরও ভাগ দিতে হবে। ট্রাস্ট ফান্ডের বিপরীতে কেউ সরাসরি ঋণ বা ঋণসুবিধা নিতে পারবে না।