সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর বয়ারসিং সংলগ্ন উলোখালীর চর এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেয়া বাংলাদেশি জেলেদের তিনটি নৌকা ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।বিজিবি’র কড়া প্রতিবাদের পর রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সীমান্তের কালিন্দি নদীর জিরো পয়েন্টে নৌকাগুলো বাংলাদেশী জেলেদের কাছে হস্তন্তার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার ও শনিবার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কৈখালী ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শমসেরনগর এর ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে দু’দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কালিন্দি নদীতে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবি কৈখালী ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবুবক্কার ও বিএসএফ এর শমসেরনগর ক্যাম্প কমান্ডার আবু বক্কার উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নীলডুমুরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের কৈখালী ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবু বক্কার জানান, বাংলাদেশী জেলেদেও কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া তিনটি নৌকাসহ সেখানে থাকা জাল-দোড়া, বাজার সময়সহ যাবতীয় টাকা পয়সা ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। এসময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধি দল আন্তঃসীমানা মধ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্যপুর্ণ সম্পর্ক বজার রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদীর বয়ারসিং সংলগ্ন উলোখালীর চর এলাকায় মাছ ধরার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে জেলেদের উপরহামলা চালায়। হামলার সময় জেলেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সুন্দরবনের মধ্যে চলে যায়। এসময় বিএসএফ সদস্যরা মাছ ধরা সরঞ্জাম ও অন্যান্য মালামালসহ জেলেদের তিনটি নৌকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ভারতীয় বিএসএফের হামলার শিকার জেলেরা হলো, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে রমজান, শাহাজান, ফরেজ গাজীর ছেলে শাহাদাৎ, শাহাজান, আতাউর, সৈয়দ গাজীর ছেলে আব্দুল, মানিকপুর গ্রামের কেরামত ও কৈখালীর নুর মোহাম্মদ।
এদিকে বিএসএফের হামলায় নৌকা হারিয়ে টানা দু’দিন বনের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী, মানিকপুর ও শৈলখালী গ্রামের আট জেলে লোকালয়ে ফিরে আসে। বিষয়টি জানার পর কৈখালী বিজিবি’র পক্ষ থেকে শমসেরনগর বিএসএফের কাছে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে ঘটনাটি আপত্তি আকারে উপস্থাপন করা হয়।
সবুজদেশ/এসইউ