কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলীয় এলাকার ৬ জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় তারা ৯৪টি অস্ত্র ও ৭ হাজার ৬৩৭টি গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন।

শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতে র‌্যাবের এক সমাবেশে জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়াকে জলদস্যু মুক্ত করেই ছাড়বো। যে জলদস্যুরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত এসেছে। তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা হবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে বলবো খুন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা থাকলে তা লঘু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার দুর্ধর্ষ ৬ জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণ করা ৬ জলদস্যু বাহিনী হলো- কুতুবদিয়ার রমিজ বাহিনী, মহেশখালীর রমিজ বাহিনী, নুরুল আলম ওরফে কালাবদা বাহিনী, আইয়ুব বাহিনী এবং আলাউদ্দিন বাহিনী। ৬ বাহিনীর ৪৩ সদস্য হাতে থাকা দেশি-বিদেশি ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৭ হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গোলাবারুদ স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here