ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের ছয় মাসেই সন্তানের জন্ম, পরকীয়ার জেরে গৃহবধূ নিহত

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পরকীয়ার জেরে জান্নাতি নামের ২২ দিনের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মরদেহ পানিতে ফেলে গুম করার চেষ্টা করে মা মিতা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সেরেবুল ইসলাম। এ ঘটনায় ঘাতক মাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন, মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকার মিতা খাতুন (২৫), পরকীয়া প্রেমিক সেরেবুল ইসলাম (২৮), সেরেবুলের বাবা সাইদুল ইসলাম (৫০) ও তার ভাবি চাঁদনী খাতুন (৩৫)। তারা চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট মাস আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিষাকুণ্ডি এলাকায় রাজু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মিতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর মিতা এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নবজাতক জন্মের বিষয় নিয়ে রাজু ও মিতার মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। এরপর মিতা শিশুটিকে নিয়ে মায়ের বাড়ি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া চলে আসেন। সেখানেও বাচ্চাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বাচ্চাটির বাবা কে? যেহেতু বিয়ের আগে থেকেই চাচাতো ভাই শেরেবুলের সঙ্গে মিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই সবাই শেরেবুলকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। পরবর্তীতে মিতা ও শেরেবুল বাচ্চাটিকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শেরেবুলের বাবা ও তার ভাবি শিশুটিকে হত্যায় সহায়তা করেন।

আরও জানা গেছে, গত ২৫ মে শিশুটিকে হত্যা করে সেরেবুল ও মিতা। হত্যার পর তাকে পার্শ্ববর্তী জিকে খালে ফেলে দেয়। এরপর তারা অপপ্রচার চালাতে থাকেন, মিতার স্বামী রাজু বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে গেছে। ২৫ মে রাতে মিতা মিরপুর থানায় একটি মানবপাচার আইনে মামলা করেন। তাৎক্ষণিক মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও বাচ্চার মাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২৯ মে সকালে শিশুটিকে হত্যার দায় স্বীকার করেন মিতা। তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, মিতা ও শেরেবুল দুজনেই তাদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। পরকীয়ার জেরে নবজাতক শিশুকে হত্যা করে খালের পানিতে ফেলে দেয় তার মা মিতা ও পরকীয়া প্রেমিক শেরেবুল। শিশুটির মা মিতা খাতুনের স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

বিয়ের ছয় মাসেই সন্তানের জন্ম, পরকীয়ার জেরে গৃহবধূ নিহত

Update Time : ০৮:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পরকীয়ার জেরে জান্নাতি নামের ২২ দিনের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মরদেহ পানিতে ফেলে গুম করার চেষ্টা করে মা মিতা খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক সেরেবুল ইসলাম। এ ঘটনায় ঘাতক মাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন, মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকার মিতা খাতুন (২৫), পরকীয়া প্রেমিক সেরেবুল ইসলাম (২৮), সেরেবুলের বাবা সাইদুল ইসলাম (৫০) ও তার ভাবি চাঁদনী খাতুন (৩৫)। তারা চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট মাস আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিষাকুণ্ডি এলাকায় রাজু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মিতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর মিতা এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নবজাতক জন্মের বিষয় নিয়ে রাজু ও মিতার মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। এরপর মিতা শিশুটিকে নিয়ে মায়ের বাড়ি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া চলে আসেন। সেখানেও বাচ্চাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বাচ্চাটির বাবা কে? যেহেতু বিয়ের আগে থেকেই চাচাতো ভাই শেরেবুলের সঙ্গে মিতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই সবাই শেরেবুলকে সন্দেহ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। পরবর্তীতে মিতা ও শেরেবুল বাচ্চাটিকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শেরেবুলের বাবা ও তার ভাবি শিশুটিকে হত্যায় সহায়তা করেন।

আরও জানা গেছে, গত ২৫ মে শিশুটিকে হত্যা করে সেরেবুল ও মিতা। হত্যার পর তাকে পার্শ্ববর্তী জিকে খালে ফেলে দেয়। এরপর তারা অপপ্রচার চালাতে থাকেন, মিতার স্বামী রাজু বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে গেছে। ২৫ মে রাতে মিতা মিরপুর থানায় একটি মানবপাচার আইনে মামলা করেন। তাৎক্ষণিক মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও বাচ্চার মাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২৯ মে সকালে শিশুটিকে হত্যার দায় স্বীকার করেন মিতা। তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, মিতা ও শেরেবুল দুজনেই তাদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। পরকীয়ার জেরে নবজাতক শিশুকে হত্যা করে খালের পানিতে ফেলে দেয় তার মা মিতা ও পরকীয়া প্রেমিক শেরেবুল। শিশুটির মা মিতা খাতুনের স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ