ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিল গেটসকে হটিয়ে বিশ্বের ২য় শীর্ষধনী ইলন মাস্ক

Reporter Name

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ধনীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পর থেকে জীবনে মাত্র দ্বিতীয়বার দুইয়ের নিচে নামলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাকে হটিয়ে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষধনীর মুকুট এখন ইলন মাস্কের দখলে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের তথ্যমতে, ইলন মাস্কের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের মূল্য গত এক বছরে বেড়েছে প্রায় ৬৭৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর টেসলার প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল যেখানে ৬৭ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৫২১ দশমিক ৪০ ডলারে।

প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। ফলে এই এক বছরে টেসলার ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্কেরও সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

তালিকায় ৩৫তম অবস্থান নিয়ে বছর শুরু করেছিলেন টেসলার প্রধান। এরপর দেখতে দেখতেই সেখানে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছেন এ ধনকুবের।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাবে, বর্তমানে ৪৯ বছর বয়সী মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার। সামান্য পিছিয়ে থাকা বিল গেটসের সম্পদও ১২৮ বিলিয়নের। তবে আয়ের একটি বড় অংশ দান না করলে শীর্ষধনীর তালিকায় তিনি হয়তো আরও ওপরের দিকেই থাকতেন।

jagonews24

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের শীর্ষধনীর খেতাব ধরে রেখেছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ অন্তত ১৮২ বিলিয়ন ডলার।

সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে বিভিন্ন কারণে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বিল গেটস ও ইলন মাস্ক। মূলত করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং বিতরণে কোটি কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় উঠে আসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

আর একই দিন চারবার করোনা টেস্ট করিয়ে খবরের শিরোনাম হন ইলন মাস্ক। পরীক্ষাগুলোতে দু’বার পজিটিভ ও দু’বার করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছিল তার। একারণে করোনাভাইরাস নিয়ে মাস্কের মন্তব্য ছিল, ‘সাংঘাতিক ফালতু কিছু চলছে।’

অবশ্য করোনা মহামারি নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য এটাই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে লকডাউনকে ‘মানুষদের জোরপূর্বক ঘরে আটকে রাখা’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন মাস্ক।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
২৫২ Time View

বিল গেটসকে হটিয়ে বিশ্বের ২য় শীর্ষধনী ইলন মাস্ক

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ধনীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির পর থেকে জীবনে মাত্র দ্বিতীয়বার দুইয়ের নিচে নামলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাকে হটিয়ে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষধনীর মুকুট এখন ইলন মাস্কের দখলে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের তথ্যমতে, ইলন মাস্কের মালিকানাধীন জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের মূল্য গত এক বছরে বেড়েছে প্রায় ৬৭৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর টেসলার প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল যেখানে ৬৭ দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৫২১ দশমিক ৪০ ডলারে।

প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। ফলে এই এক বছরে টেসলার ২০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইলন মাস্কেরও সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

তালিকায় ৩৫তম অবস্থান নিয়ে বছর শুরু করেছিলেন টেসলার প্রধান। এরপর দেখতে দেখতেই সেখানে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছেন এ ধনকুবের।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাবে, বর্তমানে ৪৯ বছর বয়সী মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার। সামান্য পিছিয়ে থাকা বিল গেটসের সম্পদও ১২৮ বিলিয়নের। তবে আয়ের একটি বড় অংশ দান না করলে শীর্ষধনীর তালিকায় তিনি হয়তো আরও ওপরের দিকেই থাকতেন।

jagonews24

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস এখনও বিশ্বের শীর্ষধনীর খেতাব ধরে রেখেছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ অন্তত ১৮২ বিলিয়ন ডলার।

সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে বিভিন্ন কারণে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বিল গেটস ও ইলন মাস্ক। মূলত করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং বিতরণে কোটি কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় উঠে আসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

আর একই দিন চারবার করোনা টেস্ট করিয়ে খবরের শিরোনাম হন ইলন মাস্ক। পরীক্ষাগুলোতে দু’বার পজিটিভ ও দু’বার করোনা নেগেটিভ ফলাফল এসেছিল তার। একারণে করোনাভাইরাস নিয়ে মাস্কের মন্তব্য ছিল, ‘সাংঘাতিক ফালতু কিছু চলছে।’

অবশ্য করোনা মহামারি নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য এটাই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে লকডাউনকে ‘মানুষদের জোরপূর্বক ঘরে আটকে রাখা’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন মাস্ক।