ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় আব্দুল গণি বারাদার

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

মোল্লা আবদুল গণি বারাদার। তিনি তালেবানদের মধ্যে ১৯৯৪ সালের আন্দোলনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে পরিচিত। সেই সঙ্গে তিনি একজন ক্যারিশম্যাটিক সামরিক নেতা এবং একজন গভীর ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে শ্রদ্ধার পাত্র তালেবানদের কাছে।

আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে যখন তালেবানরা বিজয় লাভ করে, তখন মার্কিন সেনাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবার পেছনে বারাদারের বড় ভূমিকা ছিল। সব বড় সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তাকেই দেওয়া হয়েছিল। তালেবানদের কাবুলে প্রবেশের সময় রক্তপাত এড়াতে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র, বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলার পরিকল্পনা বাস্তবের আলো দেখান এই আব্দুল ঘানি বারাদার। এখন তিনি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক। অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান সরকারে, তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তালেবান এখন তরুণ প্রজন্মদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তাদের মতে নবীন-প্রবীনের মেলবন্ধনে গড়ে উঠবে যথাযথ সরকার।

বারাদার একজন শান্ত, মিতভাষী ব্যক্তি যিনি খুব কমই প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন বা সাক্ষাৎকার দেন, তবুও বারাদার তালেবানের মধ্যে মধ্যস্ততা রক্ষাকারী একজন স্ট্রাটেজিস্ট হিসেবে জনপ্রিয়। যাকে পশ্চিমের সমর্থন জেতার জন্য আলোচনার দিকে এগিয়ে দেবার পরিকল্পনা রয়েছে তালেবান সরকারের। কারণ আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনের জন্য পশ্চিমের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে ব্যক্তি আমেরিকানদের আফগানিস্তান থেকে বের করে দিয়েছে, সে কি পশ্চিমাদের মন জিততে পারবে? উত্তর দেবে সময়।

সূত্র: টাইম

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৩৭ Time View

বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় আব্দুল গণি বারাদার

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

মোল্লা আবদুল গণি বারাদার। তিনি তালেবানদের মধ্যে ১৯৯৪ সালের আন্দোলনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে পরিচিত। সেই সঙ্গে তিনি একজন ক্যারিশম্যাটিক সামরিক নেতা এবং একজন গভীর ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে শ্রদ্ধার পাত্র তালেবানদের কাছে।

আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে যখন তালেবানরা বিজয় লাভ করে, তখন মার্কিন সেনাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবার পেছনে বারাদারের বড় ভূমিকা ছিল। সব বড় সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা তাকেই দেওয়া হয়েছিল। তালেবানদের কাবুলে প্রবেশের সময় রক্তপাত এড়াতে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র, বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলার পরিকল্পনা বাস্তবের আলো দেখান এই আব্দুল ঘানি বারাদার। এখন তিনি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক। অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান সরকারে, তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তালেবান এখন তরুণ প্রজন্মদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তাদের মতে নবীন-প্রবীনের মেলবন্ধনে গড়ে উঠবে যথাযথ সরকার।

বারাদার একজন শান্ত, মিতভাষী ব্যক্তি যিনি খুব কমই প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন বা সাক্ষাৎকার দেন, তবুও বারাদার তালেবানের মধ্যে মধ্যস্ততা রক্ষাকারী একজন স্ট্রাটেজিস্ট হিসেবে জনপ্রিয়। যাকে পশ্চিমের সমর্থন জেতার জন্য আলোচনার দিকে এগিয়ে দেবার পরিকল্পনা রয়েছে তালেবান সরকারের। কারণ আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনের জন্য পশ্চিমের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে ব্যক্তি আমেরিকানদের আফগানিস্তান থেকে বের করে দিয়েছে, সে কি পশ্চিমাদের মন জিততে পারবে? উত্তর দেবে সময়।

সূত্র: টাইম