সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের রোগীদের চিকিৎসার বিছানায় শুয়ে আছে কুকুর। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে আছে আরেকটি কুকুর। গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতের শ্যামনগর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিত্র ছিল এমনই।

শ্যামনগর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জিএম তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুক্রবার পিকনিকে গিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরী বিভাগের একজন ডাক্তার ও একজন সহকারি ছিলেন। রাত ১২টার পর সাধারণত রোগী কম থাকে। তখন দায়িত্বরত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও সহকারি পাশের রুমে বিশ্রাম নেয়। এরই মধ্যে এক রোগী হাসপাতালে এসে এমন অবস্থা দেখে মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করে। পরে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে ছবিটি ছড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এটি ঠিক করেনি।

তিনি আরও বলেন, কুকুর শীতের তিব্রতার কারণে জরুরী বিভাগে ডুকে পড়তে পারে। গার্ড না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনার দিন জরুরী বিভাগের ডিউটি কার ছিল তিনি সঠিক জানাতে পারেনি।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে শ্যামনগর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অজয় কুমার সাহা বলেন, রোগীটাকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। নাম পরিচয় এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। জরুরী বিভাগ চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে। রাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের যিনি ডাক্তার ও সহকারি থাকেন অনেক সময় পাশের বিশ্রাম রুমে বিশ্রাম নেয়।

হাসপাতালে জরুরী বিভাগের বিছানা ও চেয়ারে কুকুরের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালের মধ্যে ৩-৪টি কুকুর রয়েছে। হাসপাতালের বাসিন্দাদের মতই। যখন ডাক্তার ও সহকারি বিশ্রামে ছিল সে সময় হয়তো বা কুকুর জরুরী বিভাগে ঢুকে পড়েছে। হাসপাতালে কোন সিকিউরিটি গার্ড বা নাইটগার্ড নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here