বিষাক্ত স্পিরিট পানে তিনজনের মৃত্যু
রংপুরঃ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতরা হলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নুর ইসলাম (৩০) এবং রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সরোয়ার হোসেন (৩১) ও মোস্তফা কামাল(৩০)।
এদের মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার ও মোস্তফা কামাল এবং আজ বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান। তিনজনেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ দল প্রায় প্রতিদিনই শ্যামপুর বাজার এলাকায় মদ ও বিষাক্ত স্পিরিট পানের আসর বসাতেন। বিশেষ করে ঈদকে ঘিরে তাদের আসর আরো জমজমাট হয়ে ওঠে। ঈদের আনন্দে গত সোমবার শ্যামপুর বাজার এলাকায় নেশাজাতীয় নিষিদ্ধ রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করেন কয়েককজন। একপর্যায়ে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল এবং আজ বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান। পরে মঙ্গলবার বিকেলে মোস্তফা ও সরোয়ারের লাষ তড়িঘগি করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একটি সূত্র জানায়, ওই গ্রæপের আরো কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, নিহতের দুইজনের বাড়ি চন্দনপাট ইউনিয়নের খইল্লাপাড়া ও পুটিমারী এলাকায় এবং একজনের বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে।
রংপুর সদর কোতয়ালী থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, নুর ইসলামের মৃত্যুর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। নেশাজাতীয় অ্যালকোহল পান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মদের উৎস এবং সরবরাহকারীকে খুঁজে বের করতে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাটে বিষাক্ত মদপানে সোম ও মঙ্গলবার দুইদিনে ছয়জনের মুত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও সাতজন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।