যশোরঃ

মণিরামপুরে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার ৫ জানুয়ারি যশোর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফারুক আহমেদের আদালতে এ মামলা করেন। এছাড়া ধর্ষক প্রাইভেট শিক্ষককে সহযোগীতা করার অপরাধে আরো ২ জনকে আসামী করা হয়েছে।

বিচারক মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীরা হল, উপজেলার গাঙ্গুলিয়া গ্রামের মুনসুর আলীর পুত্র প্রাইভেট শিক্ষক মাসুদুর রহমান, একই এলাকার কাবিল মিস্ত্রির পুত্র শহিদুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে এক বছর ধরে প্রাইভেট পড়িয়েছেন মাসুদুর রহমান। প্রাইভেট পড়াতে-পড়াতে ৫ লাখ টাকা কাবিনে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় মাসুদ। প্রথম পর্যায় তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্কের এক পর্যায় শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ মামলার অপর দুই আসামী শহিদুল ও সিরাজুলের সহযোগীতায় গত ১০ আগষ্ট ও ৯ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে চলাচল করে প্রাইভেট শিক্ষক মাসুদ। পরে মামলার আসামীরা একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে ফিরে ক্ষতিগ্রস্থ ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছয়ে দেয়। মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্থ ওই ছাত্রী দাবী করেন, পরবর্তীতে প্রাইভেট শিক্ষক মাসুদ তাকে বিয়ে করতে টালবাহানা করতে থাকলে কোন উপায়ান্ত না পেয়ে সে আদালতে মামলা দায়ের করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here