বর্ষায় ঠাণ্ডা বাতাস ভালো লাগলেও বৃষ্টিতে নষ্ট হতে পারে সাজ। সিক্ত বাতাসেও মেইকআপ ঠিক রাখার রয়েছে উপায়।
ময়েশ্চারাইজার: আবহাওয়া আর্দ্র থাকলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। যা ত্বকে ভালোভাবে মেইকআপ বসতেও সাহায্য করে। পানি নির্ভর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এটা ত্বকের তেল শোষণ করতে সহায়তা করে।
পাউডার ব্যবহার: বর্ষায় ক্রিম নির্ভর প্রসাধনী এড়িয়ে চলা উচিত। ত্বক ‘ম্যাট’ ভাব আনতে পাউডার ব্যবহার করা যায়। খুব বেশি ফাউন্ডেশন বা কন্সিলার ব্যবহার না করে পাউডারকে বেইজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর্দ্র আবহাওয়ায় পাউডারধর্মী ফাউন্ডেশন দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং মেইকআপ অনেক্ষণ থাকে। আর প্রাইমার ব্যবহারের কথা ভুলবেন না।
ঠোঁটের রং: বর্ষায় ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করা ভালো। কোমল ম্যাট, গোলাপি বা হালকা বাদামি এবং উজ্জ্বল লাল রংয়ের লিপস্টিক বেশ ভালো মানিয়ে যায়। তৈলাক্ত বা ক্রিমধর্মী লেপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ আর্দ্র আবহাওয়ায় এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানান, ভারতের তরুণ রূপবিশেষজ্ঞ ভূমিকা বাহরি।
চোখের সাজ: ভারতের প্রতিষ্ঠিত রূপসজ্জাকর নিতি লুথ্রা’র মতে, চোখে মাস্কারা বা আইলাইনার ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া উচিত তা পানি-রোধক কিনা! নিখুঁত মেইকআপের জন্য ক্রিমধর্মী পেন্সিল কাজলের পরিবর্তে ফেল্টপেন লাইনার ব্যবহার করুন। চোখে কালো কাজলের পরিবর্তে সাদা বা বাদামি কাজল ব্যবহার করা উচিত। এতে চোখ দেখতে বড় লাগে এবং বৃষ্টিতেও নষ্ট হয় না।
ব্লাশ ও আইশ্যাডো: এক্ষেত্রেও ক্রিমের পরিবর্তে পাউডার ধর্মী প্রসাধনী ব্যবহার করুন। চোখে গোলাপি, হালকা বাদামি, পেস্ট ও বেইজ রংয়ের ব্যবহার করতে পারেন এই মৌসুমে।
কম-ই বেশি: চেহারার সৌন্দর্য বাড়ায় মেইকআপ। তাই এর ব্যবহার যেন কম বা বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই শেইড ব্যবহার করুন। কোন ধরনের মেইকআপে আপনাকে দেখতে ভালো লাগে তা পরখ করে দেখতে পারেন। তবে কম-ই বেশি, এটাই মেইকআপের সৌন্দর্য। অর্থাৎ খুব বেশি ভারী মেইকআপ সৌন্দর্য নষ্ট করে বলে জানান, নিতি।