ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার যে কারণে ফেসবুক অচল হয়ে পড়ে

Reporter Name

সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যায় ভুগেছেন অনেক ব্যবহারকারী।

শুধু বাংলাদেশেই নয়; কোনো কিছু পোস্ট করা ও শেয়ার করা যাচ্ছে না বলে গতকাল থেকে টুইটারে অভিযোগ করা হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে।

জানা গেছে, শুধু ফেসবুকই নয়, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেও বিশ্বব্যাপী সমস্যা সৃষ্টি হয়।

এ সমস্যার ২৪ ঘণ্টা পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেসবুকের সেবায় বিঘ্ন ঘটেছিল। এখন তা ঠিক করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ অসুবিধার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত এবং প্রত্যেকের ধৈর্যের প্রশংসা করি।

কি কারণে গত দুদিন সেবায় বিঘ্ন ঘটেছিল তাও ব্যাখ্যা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

তারা জানায়, মূলত সার্ভার কনফিগারেশনে পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিমধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবু কোনো কোনো অঞ্চলে ক্রটি দেখা যেতে পারে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ নতুন কনফিগারেশনে পুরো সিস্টেম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে ভিন্নকথা। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ছিল থ্যাংকস গিভিং ডে। যুক্তরাষ্ট্রে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কানাডা, লাতিন আমেরিকাসহ ইউরোপের অনেক দেশ দিনটি ঘটা করেই পালন করে। এ উপলক্ষে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লাখকোটি ব্যবহারকারী শুভেচ্ছাবার্তা আদান-প্রদান করেছেন। ইমোজি, স্টিকারে ভাসিয়েছেন টাইমলাইন। আর এত লোড নিতে না পেরে সার্ভার ডাউন হয়ে ফেসবুক একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে।

সেই প্রভাব এসে পড়ে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেও। বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুক ব্যবহার করতে না পেরে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। পোস্ট শেয়ার বা মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারেননি অনেকে। ইনস্টাগ্রামেও ছবি পোস্ট করা যায়নি নির্বিঘ্নে। ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরাও ঠিকমতো ইনবক্স করতে পারেননি।

তবে শুক্রবার থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের সেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
৩১২ Time View

বৃহস্পতিবার যে কারণে ফেসবুক অচল হয়ে পড়ে

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যায় ভুগেছেন অনেক ব্যবহারকারী।

শুধু বাংলাদেশেই নয়; কোনো কিছু পোস্ট করা ও শেয়ার করা যাচ্ছে না বলে গতকাল থেকে টুইটারে অভিযোগ করা হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে।

জানা গেছে, শুধু ফেসবুকই নয়, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেও বিশ্বব্যাপী সমস্যা সৃষ্টি হয়।

এ সমস্যার ২৪ ঘণ্টা পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেসবুকের সেবায় বিঘ্ন ঘটেছিল। এখন তা ঠিক করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ অসুবিধার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত এবং প্রত্যেকের ধৈর্যের প্রশংসা করি।

কি কারণে গত দুদিন সেবায় বিঘ্ন ঘটেছিল তাও ব্যাখ্যা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

তারা জানায়, মূলত সার্ভার কনফিগারেশনে পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিমধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবু কোনো কোনো অঞ্চলে ক্রটি দেখা যেতে পারে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ নতুন কনফিগারেশনে পুরো সিস্টেম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে ভিন্নকথা। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ছিল থ্যাংকস গিভিং ডে। যুক্তরাষ্ট্রে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কানাডা, লাতিন আমেরিকাসহ ইউরোপের অনেক দেশ দিনটি ঘটা করেই পালন করে। এ উপলক্ষে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লাখকোটি ব্যবহারকারী শুভেচ্ছাবার্তা আদান-প্রদান করেছেন। ইমোজি, স্টিকারে ভাসিয়েছেন টাইমলাইন। আর এত লোড নিতে না পেরে সার্ভার ডাউন হয়ে ফেসবুক একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে।

সেই প্রভাব এসে পড়ে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেও। বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেসবুক ব্যবহার করতে না পেরে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেক ব্যবহারকারী। পোস্ট শেয়ার বা মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারেননি অনেকে। ইনস্টাগ্রামেও ছবি পোস্ট করা যায়নি নির্বিঘ্নে। ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরাও ঠিকমতো ইনবক্স করতে পারেননি।

তবে শুক্রবার থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের সেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।