ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল দিয়ে এলো ১২৩ টন কাঁচামরিচ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে এলো ১২৩ টন আমদানিকৃত কাঁচামরিচ। মঙ্গলবার বিকালে ৫টি ট্রাকে ৩৩ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া গত রোববার ৪৫ টন এবং সোমবার ৪৫ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়। 

ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানরা এসব কাঁচামরিচ আমদানি করে নিয়ে আসেন। কাঁচামরিচের চালানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, সীমান্তের ওপারে আরও কয়েকটি ট্রাক কাঁচামরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। গত তিন দিনে এ বন্দর দিয়ে ১২৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, প্রতিকেজি কাঁচামরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতিকেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।

বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহণসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আরও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচামরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

Tag :

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ চারজনের ফাঁসি চাইলেন চিকিৎসক

বেনাপোল দিয়ে এলো ১২৩ টন কাঁচামরিচ

Update Time : ১০:২১:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে এলো ১২৩ টন আমদানিকৃত কাঁচামরিচ। মঙ্গলবার বিকালে ৫টি ট্রাকে ৩৩ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ ছাড়া গত রোববার ৪৫ টন এবং সোমবার ৪৫ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়। 

ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানরা এসব কাঁচামরিচ আমদানি করে নিয়ে আসেন। কাঁচামরিচের চালানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, সীমান্তের ওপারে আরও কয়েকটি ট্রাক কাঁচামরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। গত তিন দিনে এ বন্দর দিয়ে ১২৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, প্রতিকেজি কাঁচামরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতিকেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।

বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহণসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আরও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচামরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।