বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
যশোরঃ
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে কর্মবিরতি শুরু করেছে ‘পেট্রাপোল স্থলবন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’। ফলে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
এর আগে শ্রমিকরা দাবি আদায়ে ২১ ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে আজ সকাল থেকে সবকিছু বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। ফলে দুই দেশের বন্দরে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে ‘পেট্রাপোল জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’গঠন করা হয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে কয়েক দিন আগে পাঁচ দফা দাবি জানায়।
দাবিগুলো হল- ১. অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় হ্যান্ডলিং কুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে; ২. পূর্বের ন্যায় ট্রাকচালক ও সহকারীদের হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোলের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে; ৩. সাধারণ ব্যবসায়ীদের (মুদ্রা বিনিময়কারী, পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট, ট্রাকচালক, সহকারী) বিএসএফ ও অন্যান্য এজেন্সির দ্বারা নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে; ৪. বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আসা রফতানি পণ্যের ট্রাক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ৫. আধুনিকতার অজুহাতে শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান কার্তিক চক্রবর্তী।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোলে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে সোমবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।