কিশোরগঞ্জঃ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে ভাই-ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দীন ইসলাম।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ৫ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুন নূর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে দীন ইসলাম জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাবল দিয়ে পিটিয়ে বড় ভাই আসাদুজ্জান খান, ভাবি পারভীন আক্তার ও ভাতিজা লিয়নকে হত্যা করে মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার মা, বোন ও ভাগনেসহ আত্মীয়স্বজন হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেন বলেও জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলাম অন্য আত্মীয়দের সহায়তায় একাই শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় অন্য কারা জড়িত তা বের করতে তিন অভিযুক্তকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে দীন ইসলামসহ মামলার অপর তিন অভিযুক্ত তার মা কেওয়া খাতুন, বোন নাজমা বেগম ও ভাগনে আল-আমিনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।

নাজমা, কেওয়া খাতুন ও আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। আগামীকাল রোববার আদালতে তাদের রিমান্ড শুনানি হবে।

বৃহস্পতিবার রাতে কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামে বসতঘরের পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় আসাদুজ্জামান খান (৫২), তার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৪০) ও তাদের শিশুপুত্র লিয়নের (১২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত আসাদের ছেলে তোফাজ্জল বাদী হয়ে চাচা, ফুফু, ফুফাতো ভাইসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই আসাদের ভাই, মা, বোন এবং ভাগনেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here