ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৬৯ রানের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ায় এবারের বিশ্বকাপে গড়পড়তা যে রান হয়েছে তাতে ১৬৯ রানই ছিল লড়াই করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ইংল্যান্ড ব্যাটারদের সামনে এই রান যেন একেবারেই মামুলি।

ভারতীয় বোলিংকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড এবং নাম লিখে নিলো ফাইনালে। ২৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটেই জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড।

রোববার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো পাকিস্তান।

ইংল্যান্ড জিততেই পারে; কিন্তু তাই বলে ১৬৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ৪ ওভার এবং পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে জিততে হবে! যারা খেলা দেখেননি, তারা এই স্কোরলাইন দেখলেই বুঝতে পারবেন, কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস। ভারতীয় বোলারদের রীতিমত তুলোধুনো করে ছেড়েছেন তারা।

অপরাজিত ১৭০ রানের ওপেনিং জুটি গড়তে জস বাটলার ৪৯ বলে খেলেছেন ৮০ রানের ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৬৩.২৬। অ্যালেক্স হেলস ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৪৭ বলে তিনি খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৭টি। তার স্ট্রাইক রেট ১৮২.৯৭ করে।

আবারও প্রমাণ হলো ভারতীয় বোলিং খুবই সাধারণ মানের। বিশেষ করে জসপ্রিত বুমরাহ এবং রবিন্দ্র জাদেজাকে ছাড়া তো আরও সাধারণ। ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদিপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ শামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ার মত বোলাররা বাটলার এবং হেলসের ওপর কোনো চাপই তৈরি করতে পারেননি।

পুরো চার ওভার কমপ্লিট করতে পেরেছেন কেবল অক্ষর প্যাটেল। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩০ রান। ভুবনেশ্বর কুমার ২ ওভারে দেন ২৫ রান। আর্শদিপ সিং ২ ওভারে দেন ১৫ রান। মোহাম্মদ শামির ৩ ওভার থেকে ৩৯ রান সংগ্রহ করে ইংলিশ দুই ওপেনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২ ওভারে দেন ২৭ রান এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ৩ ওভারে ৩৪ রান নেন বাটলার এবং হেলস।

তবে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, গত আইপিএলে চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো জস বাটলার কিন্তু ভারতীয় বোলারদের খেলে খেলেই হাত পাকা করেছেন। সেই ভারতীয় বোলারদের যখন আজ অ্যাডিলেড ওভালে পেলেন, তখন আগের ব্যাটিংটাকে ঝালাই করতে তার মোটেও অসুবিধা হয়নি। একই অবস্থা হয়েছে অ্যালেক্স হেলসের ক্ষেত্রেও। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে হেলসের হাতেই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুবই বাজে করেছিল ভারত। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। এক সময় তো ১৩০-১৪০ হবে কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল।

কিন্তু শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ঝড়ো ব্যাটিং করে স্কোরকে ১৬৮ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করেন পান্ডিয়া। ৪০ বলে ৫০ রান করেন বিরাট কোহলি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড

টস: ইংল্যান্ড, ফিল্ডিং
ভারত : ১৬৮/৬, ২০ ওভার (পান্ডিয়া ৬৩*, কোহলি ৫০, রোহিত শর্মা ২৭, সুর্যকুমার যাদব ১৪; ক্রিস জর্ডান ৩/৪৩, আদিল রশিদ ১/২০, ক্রিস ওকস ১/২৪)।

ইংল্যান্ড: ১৭০/০, ১৬ ওভার (জস বাটলার ৮০*, অ্যালেক্স হেলস ৮৬*; অক্ষর প্যাটেল ০/৩০)।

ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী (৪ ওভার হাতে রেখে)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যালেক্স হেলস।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
১১৫ Time View

ভারতকে লজ্জায় ডুবিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৬৯ রানের। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। অস্ট্রেলিয়ায় এবারের বিশ্বকাপে গড়পড়তা যে রান হয়েছে তাতে ১৬৯ রানই ছিল লড়াই করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ইংল্যান্ড ব্যাটারদের সামনে এই রান যেন একেবারেই মামুলি।

ভারতীয় বোলিংকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১০ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড এবং নাম লিখে নিলো ফাইনালে। ২৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটেই জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড।

রোববার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো পাকিস্তান।

ইংল্যান্ড জিততেই পারে; কিন্তু তাই বলে ১৬৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ৪ ওভার এবং পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে জিততে হবে! যারা খেলা দেখেননি, তারা এই স্কোরলাইন দেখলেই বুঝতে পারবেন, কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলস। ভারতীয় বোলারদের রীতিমত তুলোধুনো করে ছেড়েছেন তারা।

অপরাজিত ১৭০ রানের ওপেনিং জুটি গড়তে জস বাটলার ৪৯ বলে খেলেছেন ৮০ রানের ইনিংস। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৬৩.২৬। অ্যালেক্স হেলস ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৪৭ বলে তিনি খেলেছেন ৮৬ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৭টি। তার স্ট্রাইক রেট ১৮২.৯৭ করে।

আবারও প্রমাণ হলো ভারতীয় বোলিং খুবই সাধারণ মানের। বিশেষ করে জসপ্রিত বুমরাহ এবং রবিন্দ্র জাদেজাকে ছাড়া তো আরও সাধারণ। ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদিপ সিং, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ শামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিংবা হার্দিক পান্ডিয়ার মত বোলাররা বাটলার এবং হেলসের ওপর কোনো চাপই তৈরি করতে পারেননি।

পুরো চার ওভার কমপ্লিট করতে পেরেছেন কেবল অক্ষর প্যাটেল। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩০ রান। ভুবনেশ্বর কুমার ২ ওভারে দেন ২৫ রান। আর্শদিপ সিং ২ ওভারে দেন ১৫ রান। মোহাম্মদ শামির ৩ ওভার থেকে ৩৯ রান সংগ্রহ করে ইংলিশ দুই ওপেনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২ ওভারে দেন ২৭ রান এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ৩ ওভারে ৩৪ রান নেন বাটলার এবং হেলস।

তবে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, গত আইপিএলে চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো জস বাটলার কিন্তু ভারতীয় বোলারদের খেলে খেলেই হাত পাকা করেছেন। সেই ভারতীয় বোলারদের যখন আজ অ্যাডিলেড ওভালে পেলেন, তখন আগের ব্যাটিংটাকে ঝালাই করতে তার মোটেও অসুবিধা হয়নি। একই অবস্থা হয়েছে অ্যালেক্স হেলসের ক্ষেত্রেও। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে হেলসের হাতেই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুবই বাজে করেছিল ভারত। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। এক সময় তো ১৩০-১৪০ হবে কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল।

কিন্তু শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ঝড়ো ব্যাটিং করে স্কোরকে ১৬৮ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করেন পান্ডিয়া। ৪০ বলে ৫০ রান করেন বিরাট কোহলি।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড

টস: ইংল্যান্ড, ফিল্ডিং
ভারত : ১৬৮/৬, ২০ ওভার (পান্ডিয়া ৬৩*, কোহলি ৫০, রোহিত শর্মা ২৭, সুর্যকুমার যাদব ১৪; ক্রিস জর্ডান ৩/৪৩, আদিল রশিদ ১/২০, ক্রিস ওকস ১/২৪)।

ইংল্যান্ড: ১৭০/০, ১৬ ওভার (জস বাটলার ৮০*, অ্যালেক্স হেলস ৮৬*; অক্ষর প্যাটেল ০/৩০)।

ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী (৪ ওভার হাতে রেখে)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যালেক্স হেলস।