ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা ভারতের মণিপুরঘেঁষা চিন প্রদেশ দখলে নিয়েছে

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে এবার ভারতের মণিপুরঘেঁষা চিন প্রদেশের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। অং সান সু চির সমর্থক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট পরিচালিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে চিন প্রদেশের ৮০ শতাংশ এলাকাই বিদ্রোহীদের দখলে। 

মিয়ানমারের চিন প্রদেশে জান্তা বিরোধী এই লড়াই চালাচ্ছে চিন ব্রাদারহুড নামের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী। আরাকান আর্মি তাদের সমর্থন করছে।

ইরাবতীকে চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং বলেন, দক্ষিন চিন প্রদেশ জান্তার কবল থেকে মুক্ত করেছে তারা। এখন শুধুমাত্র প্ররদেশের উত্তর দিকে অবস্থিত ফালাম এলাকায় কিছু জান্তা বাহিনী আছে। সেখানে ব্রাদারহুড হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্রাদারহুডের অধীনে আছে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, ইয়াও আর্মি, মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামক আরো তিনটি সশস্ত্র সংগঠন।

এছাড়া দক্ষিণ চিন প্রদেশের রাজধানী হাকহা, ফালাম, টেদিম এবং থান্টলাঙের শহুরে অঞ্চলে কিছু জান্তা বাহিনী রয়েছে। তবে পালেতােয়া, মাটুপি, কানাপেলেট, মিন্দাত এবং টোনজাং শহরগুলোতে জান্তা বাহিনীর পুরোপুরি পতন ঘটেছে। এছাড়া মিন্দাত থেকে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দিকেও মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন ব্রাদারহুড।

চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাখাইনের আরাকান আর্মি তাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে।  এদিকে গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে রাজ্যটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

এর মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায় ক্ষমতাসীন জান্তা।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪ Time View

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা ভারতের মণিপুরঘেঁষা চিন প্রদেশ দখলে নিয়েছে

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে এবার ভারতের মণিপুরঘেঁষা চিন প্রদেশের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। অং সান সু চির সমর্থক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট পরিচালিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে চিন প্রদেশের ৮০ শতাংশ এলাকাই বিদ্রোহীদের দখলে। 

মিয়ানমারের চিন প্রদেশে জান্তা বিরোধী এই লড়াই চালাচ্ছে চিন ব্রাদারহুড নামের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী। আরাকান আর্মি তাদের সমর্থন করছে।

ইরাবতীকে চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং বলেন, দক্ষিন চিন প্রদেশ জান্তার কবল থেকে মুক্ত করেছে তারা। এখন শুধুমাত্র প্ররদেশের উত্তর দিকে অবস্থিত ফালাম এলাকায় কিছু জান্তা বাহিনী আছে। সেখানে ব্রাদারহুড হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ব্রাদারহুডের অধীনে আছে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স, ইয়াও আর্মি, মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামক আরো তিনটি সশস্ত্র সংগঠন।

এছাড়া দক্ষিণ চিন প্রদেশের রাজধানী হাকহা, ফালাম, টেদিম এবং থান্টলাঙের শহুরে অঞ্চলে কিছু জান্তা বাহিনী রয়েছে। তবে পালেতােয়া, মাটুপি, কানাপেলেট, মিন্দাত এবং টোনজাং শহরগুলোতে জান্তা বাহিনীর পুরোপুরি পতন ঘটেছে। এছাড়া মিন্দাত থেকে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দিকেও মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন ব্রাদারহুড।

চিন ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাখাইনের আরাকান আর্মি তাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে।  এদিকে গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে রাজ্যটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

এর মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায় ক্ষমতাসীন জান্তা।

সবুজদেশ/এসইউ