ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে ভাঙা হলো প্রাচীন মসজিদ

ছবি সংগৃহীত-

 

ভারতের উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর শহরে ১৮০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফতেহপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বান্দা–ফতেহপুর সড়কের ওপর সেই মসজিদের একাংশ পড়ে ছিল। এ কারণে মঙ্গলবার মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ফতেহপুর শহরে অবস্থিত মসজিদটির নাম নুরি জামে মসজিদ। এর একাংশ ভেঙে ফেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মসজিদের একাংশ সড়কের ওপর পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের পরও সেই অংশ ভাঙা হয়নি। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

ফতেহপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অর্থ ও রাজস্ব) অবিনাশ ত্রিপাঠি বলেন, মসজিদ কমিটি উচ্চ আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনো শুনানির দিন ধার্য হয়নি। মসজিদের যে কাঠামোটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, তা বর্ধিত অংশ। মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।

অবিনাশ ত্রিপাঠি আরও বলেন, গত আগস্টে গণপূর্ত বিভাগ সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনা সরাতে বিভিন্ন বাড়ির মালিক, দোকানদার, নুরি জামে মসজিদ কমিটিসহ ১৩৯ জনকে নোটিশ দেয়। অন্যরা সড়কের ওপর নির্মিত অংশ সরিয়ে নিয়েছে, মসজিদ কমিটি দোকান সরিয়েছে, কিন্তু মসজিদের অংশটি সরায়নি। গণপূর্ত বিভাগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মসজিদের অংশ ভাঙেনি। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

ভারতে ভাঙা হলো প্রাচীন মসজিদ

Update Time : ১২:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ভারতের উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর শহরে ১৮০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফতেহপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বান্দা–ফতেহপুর সড়কের ওপর সেই মসজিদের একাংশ পড়ে ছিল। এ কারণে মঙ্গলবার মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ফতেহপুর শহরে অবস্থিত মসজিদটির নাম নুরি জামে মসজিদ। এর একাংশ ভেঙে ফেলার বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মসজিদের একাংশ সড়কের ওপর পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের পরও সেই অংশ ভাঙা হয়নি। তাই নির্ধারিত সময়ের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকে মসজিদটির ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

ফতেহপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (অর্থ ও রাজস্ব) অবিনাশ ত্রিপাঠি বলেন, মসজিদ কমিটি উচ্চ আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনো শুনানির দিন ধার্য হয়নি। মসজিদের যে কাঠামোটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, তা বর্ধিত অংশ। মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।

অবিনাশ ত্রিপাঠি আরও বলেন, গত আগস্টে গণপূর্ত বিভাগ সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনা সরাতে বিভিন্ন বাড়ির মালিক, দোকানদার, নুরি জামে মসজিদ কমিটিসহ ১৩৯ জনকে নোটিশ দেয়। অন্যরা সড়কের ওপর নির্মিত অংশ সরিয়ে নিয়েছে, মসজিদ কমিটি দোকান সরিয়েছে, কিন্তু মসজিদের অংশটি সরায়নি। গণপূর্ত বিভাগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মসজিদের অংশ ভাঙেনি। এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ