ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: একদিনে যা যা ঘটেছে

 

রাতভর ড্রোন হামলা ও গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে শনিবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে।

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত তাদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এর জবাবে তারাও ভারতীয় একটি বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তার দেশ ভারতকে ‘সমুচিত’ জবাব দিয়েছে।

ভারতের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, তাদের পশ্চিম সীমান্তে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এই হামলা বেসামরিক নাগরিকদের বিপদে ফেলেছে।

উভয় দেশই বলেছে, যদি অন্য পক্ষ প্রথমে পদক্ষেপ নেয় তাহলে তারা উত্তেজনা হ্রাস করার কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত আছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, ভারত এই সংঘর্ষে আগ্রাসী ভূমিকায় ছিল এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে।

তারার মিথ্যা বলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তান তার সীমানার ভেতরে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ বজায় রেখেছে।

সবশেষ টানা কয়েকদিনের হামলা পাল্টা হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া একটি বার্তায় জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

ভারত ঘোষণা করেছে যে স্থানীয় সময় আজ শনিবার বিকাল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকাল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরণের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।

দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে, পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপোস করেনি।

সবুজদেশ/এসইউ

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: একদিনে যা যা ঘটেছে

Update Time : ০৯:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

রাতভর ড্রোন হামলা ও গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে শনিবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে।

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত তাদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। এর জবাবে তারাও ভারতীয় একটি বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তার দেশ ভারতকে ‘সমুচিত’ জবাব দিয়েছে।

ভারতের সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, তাদের পশ্চিম সীমান্তে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এই হামলা বেসামরিক নাগরিকদের বিপদে ফেলেছে।

উভয় দেশই বলেছে, যদি অন্য পক্ষ প্রথমে পদক্ষেপ নেয় তাহলে তারা উত্তেজনা হ্রাস করার কথা বিবেচনা করতে প্রস্তুত আছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, ভারত এই সংঘর্ষে আগ্রাসী ভূমিকায় ছিল এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে।

তারার মিথ্যা বলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তান তার সীমানার ভেতরে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ বজায় রেখেছে।

সবশেষ টানা কয়েকদিনের হামলা পাল্টা হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া একটি বার্তায় জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

ভারত ঘোষণা করেছে যে স্থানীয় সময় আজ শনিবার বিকাল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকাল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরণের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।

দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে, পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপোস করেনি।

সবুজদেশ/এসইউ