ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত সফরে কৃষি কর্মকর্তা, বেতন বন্ধ ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর!

Reporter Name

কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন হয়নি। কৃষি কর্মকর্তা বিনা ছুটিতে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে যাওয়ার আগে আগের তারিখে বেতন বিল স্বাক্ষর করে যান তিনি।

ওই স্বাক্ষরে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন বিল অনুমোদন করেনি। এতে করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী।

সংশ্লিষ্ট দফতরের উচ্চমান সহকারী শিশির কুমার দাস বলেছেন, কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম মঞ্জুরীকৃত ছুটি নিয়ে ভারতে যান। যাওয়ার আগে তারিখবিহীন বেতন বিলে স্বাক্ষর করে যান তিনি। ওই বিল জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেয়ার পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে।

জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দফতর থেকে কৌশলে স্বাক্ষর করা বিলগুলো ফেরত পাঠানো হয়। যে কারণে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন হয়নি।

তিনি দাবি করেন, নিজ উদ্যোগে ধার দেনা করে কয়েকজনকে টাকা দেয়া হয়েছে। বেতন বিলসহ মাসিক বিল ভাউচার ভারত থেকে ওই কর্মকর্তা আসার পরে স্বাক্ষর করানো হবে।

এদিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত ৪২ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ৮ জন কর্মচারী হতাশ হয়ে পড়েছেন। মাসিক বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তারা।

কর্মচারীদের এসব খবর রাখেন না জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে দুই ধাপে চলতি মার্চ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটি নিয়ে ভারতে যান ওই কর্মকর্তা। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ-১ শাখা থেকে ছুটি মঞ্জুর করা হয় তার।

বুধবার পর্যন্ত সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেশে ফেরেননি মর্মে নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিচালক। এ কর্মকর্তার ভাষায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিদেশ থাকার কারণে কর্মকর্তারা মাসিক বেতন পাননি এমন খবর তাকে কেউ জানায়নি।

বিনা ছুটিতে বিদেশে অবস্থান করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের।

অভিযোগ করা হয়েছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঝে মাঝে দেশের বাইরে চলে যান। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার অজুহাতে ভারত গেছেন। প্রতিবারই বিদেশ থেকে ফিরে এসে জমে থাকা বিভিন্ন বিল ভাউচার আগের তারিখে স্বাক্ষর করেন। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
৪১৬ Time View

ভারত সফরে কৃষি কর্মকর্তা, বেতন বন্ধ ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর!

আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন হয়নি। কৃষি কর্মকর্তা বিনা ছুটিতে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে যাওয়ার আগে আগের তারিখে বেতন বিল স্বাক্ষর করে যান তিনি।

ওই স্বাক্ষরে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন বিল অনুমোদন করেনি। এতে করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী।

সংশ্লিষ্ট দফতরের উচ্চমান সহকারী শিশির কুমার দাস বলেছেন, কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মোফাকখারুল ইসলাম মঞ্জুরীকৃত ছুটি নিয়ে ভারতে যান। যাওয়ার আগে তারিখবিহীন বেতন বিলে স্বাক্ষর করে যান তিনি। ওই বিল জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দেয়ার পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে।

জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দফতর থেকে কৌশলে স্বাক্ষর করা বিলগুলো ফেরত পাঠানো হয়। যে কারণে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন হয়নি।

তিনি দাবি করেন, নিজ উদ্যোগে ধার দেনা করে কয়েকজনকে টাকা দেয়া হয়েছে। বেতন বিলসহ মাসিক বিল ভাউচার ভারত থেকে ওই কর্মকর্তা আসার পরে স্বাক্ষর করানো হবে।

এদিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত ৪২ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ৮ জন কর্মচারী হতাশ হয়ে পড়েছেন। মাসিক বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তারা।

কর্মচারীদের এসব খবর রাখেন না জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে দুই ধাপে চলতি মার্চ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটি নিয়ে ভারতে যান ওই কর্মকর্তা। কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রসারণ-১ শাখা থেকে ছুটি মঞ্জুর করা হয় তার।

বুধবার পর্যন্ত সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেশে ফেরেননি মর্মে নিশ্চিত করেছেন উপ-পরিচালক। এ কর্মকর্তার ভাষায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিদেশ থাকার কারণে কর্মকর্তারা মাসিক বেতন পাননি এমন খবর তাকে কেউ জানায়নি।

বিনা ছুটিতে বিদেশে অবস্থান করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের।

অভিযোগ করা হয়েছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঝে মাঝে দেশের বাইরে চলে যান। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার অজুহাতে ভারত গেছেন। প্রতিবারই বিদেশ থেকে ফিরে এসে জমে থাকা বিভিন্ন বিল ভাউচার আগের তারিখে স্বাক্ষর করেন। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান।