‘ভারসাম্যের রাজনীতি’ চান বি. চৌধুরী
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, একমাত্র ভারসাম্যের রাজনীতিই স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দেশে স্বেচ্ছাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। এটা ইতিহাস শিক্ষা দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার দলের কুড়িল বিশ্বরোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভায় বি. চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিন দলীয় জোট যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় একক দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়িয়ে দেয়, রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সরকার দেশের স্বার্থের বদলে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে স্বেচ্ছাচারের মাধ্যমে একটি দলের স্বার্থ উদ্ধারের প্রবণতা বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাদের এটাও বুঝতে হবে, ভবিষ্যতে ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনেক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের অপবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু সে সবের জন্য মূলত রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরাই দায়ী। কারণ তারা ওই সমস্ত বাহিনীকে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ করতে বাধ্য করেন। আসলে এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য হুকুমদাতারাই অপরাধের মূল হোতা এবং তারাই মূলত এ সব কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় নেতা মো. ইউসুফ, মাহবুব আলী, সাহিদুর রহমান, শাহ আহম্মেদ বাদল, মাহফুজুর রহমান, শাহ আলম, বিএম নিজাম, ওবায়দুর রহমান মৃধা, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।