ভালোবেসে বিয়ে করায় স্বামী-স্ত্রীকে পেটালেন চেয়ারম্যান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এক যুবক ও তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করেছেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। ভালোবেসে বিয়ে করার অপরাধে তাদের মারপিট করার এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওই যুবকের। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় এজহার দেওয়া হয়েছে।
মারপিটের স্বীকার যুবক রবিউল ইসলাম (২৭) কুল্যা ইউনিয়নের মহাজনপুর গ্রামের মৃত. নজির সরদারের ছেলে। স্ত্রী নাছিমা আক্তার (২৪) তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের যাকাত আলী গাজীর মেয়ে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হামলার স্বীকার যুবক রবিউল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ আগে আমি ও নাছিমা ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ছিলাম। গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে আমাদের রবিউল ইসলাম শান্ত ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে ও নাসিমাকে নিয়ে পরিষদের হলরুমে আটককে রেখে বেধড়ক মারপিট করে।
ওই যুবক আরও জানায়, মারপিটে অংশ নেয় আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আংগুর, কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নজু, চৌকিদার রিফাজুলসহ রবিউল ইসলাম শান্ত ও তার লোকজন। এরপর কুল্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত হারুন চৌধুরীও এসে বেধড়ক মারপিট করে।
মারপিটের কারণ হিসেবে ওই যুবক বলেন, নাসিমা আক্তার পূর্বে রবিউল ইসলাম শান্তর স্ত্রী ছিল। গত তিন মাস আগে শান্তকে সে ডিভোর্স দিয়েছে। সেই আক্রোশে আমাদের মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় নয় জনকে আসামী করে আশাশুনি থানায় এজহার দিয়েছি।
ঘটনার বিষয়ে কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত হারুন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, মারপিটের এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এখনো মামলা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।