ঢাকাঃ

ধর্ষণ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের গ্রেফতার চেয়ে আবেদন করেছেন সেই তরুণী।

রোববার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে এ আবেদনটি করা হয়।

আদালত নথি পর্যালোচনা করে আদেশে বলেন, মামলাটি আমলযোগ্য। পুলিশ চাইলে আসামিদের যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারেন। মামলায় আলাদা করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রয়োজন নেই। ভিকটিমের আবেদনটি নথিভুক্ত করা হলো।

ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। পরদিন ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় নুরকে।

মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন।

মামলার প্রধান আসামি করা হয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here