সার্ভার সচল না থাকায় ঝিনাইদহে জমির নামজারি-খাজনা বন্ধ
ভুমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় ঝিনাইদহে প্রতিদিন সরকার ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সফটওয়্যার উন্নয়ন কাজের কারনে প্রায় ১৫দিন যাবৎ ভূমিসেবা সার্ভারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ফলে খাজনা প্রদান ও নামজারি না হওয়ায় ঝিনাইদহের ৬ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধ রয়েছে। এতে জনভোগান্তি চরম পর্যায় পৌঁচেছে। আর ১৫ দিনে সরকার সাড়ে ৭ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। জমি কেনাবেচা না করতে পেরে মানুষ নানাবিধ সংকটে পড়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাস আসলে ঝিনাইদহ জেলায় জমি কেনাবেচা বৃদ্ধি পায়। সেই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৬টি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ৫০০ করে দলিল হয়, যা থেকে সরকার আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার রাজস্ব অর্জন করে। কিন্তু গত ১৫ দিন যাবৎ ভুমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় জমির নামজারি ও খাজনা গ্রহন বন্ধ রয়েছে।
মহেশপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) হাসিবুর রহমান জানান, খাজনা না দিতে পারায় একদিকে যেমন দলিল রেজিষ্ট্রি হচ্ছে না, অন্যদিকে জমির নামজারিও বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কৃতান্ত বিশ্বাস জানান, ভুমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় আমরা নামজারির আবেদন নিতে পারছি না। এতে নামপত্তন ও খাজনা প্রদানও বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষ হয়রানী ও ভোগান্তিতে পড়ছে।
হারুন মোল্লা নামে এক জমির মালিক জানান, তিনি ১৩দিন আগে নামপত্তনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভুমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় জমির খাজনা নিতে পারছে না মধুহাটী ইউনিয়নের ভুমি সহকারী কর্মকর্তা। ফলে জমির নামজারি হচ্ছে না। টাকার প্রয়োজনে তিনি জমি বিক্রি করবেন বলেন জানান।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইলিশায় রিছিল জানান, সফটওয়ার আপগ্রেডেশনের জন্য সাময়িক ভাবে ভুমিসেসবা সার্ভার বন্ধ থাকতে পারে। আবার কোন কোন সময় কাজও করছে। তিনি বলেন জমির মালিকদের সাময়িক অসুবিধা হলেও দ্রুতই ভুমিসেবা সার্ভার ঠিক হয়ে যাবে।
সবুজদেশ/এসএএস