ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেঙে পড়েছে সূর্যের বিশাল খণ্ড , হতবাক বিজ্ঞানীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২৭১ Time View

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে গিয়ে এর উত্তর মেরুর চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এ ঘটনায় বিস্মিত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ঠিক কী কারণে এমনটি ঘটল, তা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্লেষণ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

মহাকাশে ভ্রমণরত মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত সপ্তাহে সূর্যের যে ছবি পাঠিয়েছে, সেখানেই ধরা পড়েছে এই চিত্র। এনডিটিভি। 

মহাকাশসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসাবে কয়েক বছর আগে এই টেলিস্কোপটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা সকোভ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সূর্যের সেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।

ছবিটির ক্যাপশনে তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। গত ৬-৭ দশকে কয়েকবার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের।

সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের পুরোটাই আসলে গ্যাসীয় তরল। পৃথক এক টুইটবার্তায় ড. তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্ঠের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।

আমেরিকার ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ’-এর সৌর-পদার্থবিদ স্কট ম্যাকইনটশ বহু দশক ধরে সূর্যের পর্যবেক্ষণ করছেন। ‘স্পেস ডটকম’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, এ ধরনের দৃশ্য তিনি কখনো দেখেননি।

Tag :