ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোট না হওয়া পর্যন্ত ইউপির দায়িত্বে বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই

Reporter Name

ঢাকাঃ

করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচন করতে না পারায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠিও দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকবেন। এই বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে নির্দেশনাও পাঠিয়েছি।’

তফসিল ঘোষণা করেও করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণার পর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ এপ্রিল এসব নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে এসব নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে জানায় ইসি।

প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৮ মার্চ, যাচাই ১৯ মার্চ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৪ মার্চ আর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল ১১ এপ্রিল।

দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে চার হাজারের বেশি ইউপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় ও সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।

২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পরিষদের মেয়াদ থাকবে। পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে। এসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈব-দুর্বিপাক এর আইন ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
৩২০ Time View

ভোট না হওয়া পর্যন্ত ইউপির দায়িত্বে বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররাই

আপডেট সময় : ০৮:১৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ

করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচন করতে না পারায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠিও দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকবেন। এই বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে নির্দেশনাও পাঠিয়েছি।’

তফসিল ঘোষণা করেও করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণার পর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ এপ্রিল এসব নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে এসব নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে জানায় ইসি।

প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৮ মার্চ, যাচাই ১৯ মার্চ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৪ মার্চ আর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল ১১ এপ্রিল।

দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে চার হাজারের বেশি ইউপি চেয়ারম্যান পদে দলীয় ও সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয়।

২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পরিষদের মেয়াদ থাকবে। পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে। এসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈব-দুর্বিপাক এর আইন ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন।