ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৪:০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এর আগে সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের বিতর্কিত সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় অমানবিক নির্যাতন করা হয়।

প্রায় দেড় যুগ পরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে তারেক রহমানের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলা: বিগত সরকারের আমলে বড় একটি সমালোচনা ছিল যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ। আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন সেক্ষেত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের উপর দমন-পীড়ন এ বিষয় গুলো যে আর হবে না সে নিশ্চয়তা কি আপনি দিতে পারেন?

তারেক রহমান: ইয়েস পারি। একদম দিতে পারি। আপনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্র-পত্রিকা খুলুন। আমি কারো নাম উল্লেখ করবো না, কোন পত্রিকার নাম উল্লেখ করবো না। খুলে দেখুন কিভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল। যার সত্যতা কিন্তু ছিল না। অপপ্রচার ছিল। অপপ্রচার টিকে সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি কি শুনেছেন? আপনি কি আমাকে প্রমাণ দিতে পারবেন? আমি কিন্তু বলতে পারবো অনেক সাংবাদিকের নাম। যারা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন স্বৈরাচারের সময় এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইভেন এখনো অনেকে প্রবাস জীবনে আছেন। এরকম বহু সাংবাদিক। আমি বলতে পারবো স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ধমক দেওয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি। কারণ তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে যদি বিএনপির সময় যদি অত্যাচার-নির্যাতন থাকতো তাহলে খবরগুলি প্রকাশিত হতো না স্বাভাবিকভাবে। যা হয়নি বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে। কাজেই আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি বিএনপির অতীত সরকারের সময়ে যেরকম সাংবাদিকদের গুম-নির্যাতন, দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।

বিবিসি বাংলা: তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধ করে এ ধরনের যে আইনগুলো আছে সেগুলো আপনারা বাতিল করবেন এটা কি ধরে নেওয়া যায়?

তারেক রহমান: অবশ্যই। আমরা সকলে মিলে বসবো। আলোচনা করবো। আপনাদের মতো সাংবাদিকসহ যারা আছেন তাদের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে এরকম কালো আইন যা যা আছে সেগুলো আমরা ঠিক করবো। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বলি যে, দেখুন এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে সংবাদ হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়। আপনাদের যেমন এটি চাওয়া থাকবে ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি যে অপপ্রচারকে সংবাদ হিসেবে প্রচারিত না হয় এ বিষয়ে সকলকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

Update Time : ০৪:০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এর আগে সেনাসমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের বিতর্কিত সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি। তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় অমানবিক নির্যাতন করা হয়।

প্রায় দেড় যুগ পরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে তারেক রহমানের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলা: বিগত সরকারের আমলে বড় একটি সমালোচনা ছিল যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ। আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন সেক্ষেত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের উপর দমন-পীড়ন এ বিষয় গুলো যে আর হবে না সে নিশ্চয়তা কি আপনি দিতে পারেন?

তারেক রহমান: ইয়েস পারি। একদম দিতে পারি। আপনি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্র-পত্রিকা খুলুন। আমি কারো নাম উল্লেখ করবো না, কোন পত্রিকার নাম উল্লেখ করবো না। খুলে দেখুন কিভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল। যার সত্যতা কিন্তু ছিল না। অপপ্রচার ছিল। অপপ্রচার টিকে সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি কি শুনেছেন? আপনি কি আমাকে প্রমাণ দিতে পারবেন? আমি কিন্তু বলতে পারবো অনেক সাংবাদিকের নাম। যারা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন স্বৈরাচারের সময় এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইভেন এখনো অনেকে প্রবাস জীবনে আছেন। এরকম বহু সাংবাদিক। আমি বলতে পারবো স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ধমক দেওয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি। কারণ তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে যদি বিএনপির সময় যদি অত্যাচার-নির্যাতন থাকতো তাহলে খবরগুলি প্রকাশিত হতো না স্বাভাবিকভাবে। যা হয়নি বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে। কাজেই আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি বিএনপির অতীত সরকারের সময়ে যেরকম সাংবাদিকদের গুম-নির্যাতন, দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে হয়নি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।

বিবিসি বাংলা: তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধ করে এ ধরনের যে আইনগুলো আছে সেগুলো আপনারা বাতিল করবেন এটা কি ধরে নেওয়া যায়?

তারেক রহমান: অবশ্যই। আমরা সকলে মিলে বসবো। আলোচনা করবো। আপনাদের মতো সাংবাদিকসহ যারা আছেন তাদের সাথে আলোচনা করবো। আলোচনা করে এরকম কালো আইন যা যা আছে সেগুলো আমরা ঠিক করবো। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বলি যে, দেখুন এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে সংবাদ হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়। আপনাদের যেমন এটি চাওয়া থাকবে ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি যে অপপ্রচারকে সংবাদ হিসেবে প্রচারিত না হয় এ বিষয়ে সকলকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।

সবুজদেশ/এসএএস