সবুজদেশ ডেক্সঃ নথিগত প্রমাণ পেলেই কেবল মামলা হবে। এ ছাড়া কোনো মামলা হবে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ সোমবার দুদক কার্যালয়ের সামনে দপ্তর থেকে বেরোনোর সময় এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খতিয়ে দেখছে। দুদক তাঁর বিরুদ্ধে যখন মামলা করবে, তখনই মামলা হবে। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী উনার যা ইচ্ছা তা বলতেই পারেন। মাননীয় মন্ত্রীর কথায় তো মামলা হবে না, অনুসন্ধানও হবে না। সরকার নিজেরাই বলে স্বাধীন কমিশন। সো, মাননীয় মন্ত্রী যা বলেছেন, উনারটা উনাকেই জিজ্ঞাস করেন, আমাকে না।’ দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘মন্ত্রীর কথায় কোনো প্রভাব দুদকে পড়বে না। এটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। যথাযথ এভিডেন্স ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান বা তদন্ত হবে না।’

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ পর্যায়ে—দুদকের একজন আইনজীবীর এমন বক্তব্যও অস্বীকার করেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ওই আইনজীবী দুদকের মুখপাত্র নন। দুদকের মুখপাত্র দুদক সচিব। তাই তিনি (আইনজীবী) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা–ও তাঁর নিজস্ব বক্তব্য।
কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে খবর আসে, সাবেক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। পরে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চার কোটি টাকা ঋণ নেন দুই ব্যবসায়ী। পরে ওই টাকা ‘রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দুই ব্যবসায়ীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটা অনুসন্ধান চলছে। ওই অনুসন্ধান দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক ওই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদকে কোনো অনুসন্ধান চলছে কি না? জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদেরকে ওয়েট করতে হবে। আপনারা এভাবে একটা প্রশ্ন করলে আমার জন্য অসুবিধা হয়। কারণ আমাকে দেখতে হবে, বুঝতে হবে, জানতে হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here