ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারি হামে আফ্রিকার কঙ্গোতে ৫০০০ মৃত্যু

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে মহামারি আকার ধারণ করেছে ভাইরাসজনিত রোগ হাম। চলতি বছর দেশটিতে হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যেকটি প্রদেশের এখন এই মহামারির সঙ্গে লড়ছে। চলতি বছর দেশটির প্রায় আড়াই লাখ মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটি মহামারি হলো হাম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বিগত ১৫ মাসে ইবোলার তুলনায় দ্বিগুণের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই যথেষ্ট নয়। কঙ্গোতে মোট শিশুর সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ। তবে পর্যাপ্ত টিকার ঘাটতিও দেখা দেয়ায় সব শিশুকে মহামারি হাম থেকে বাঁচাতে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দাবি দেশটির সরকারের।

শিশুদের এই মহামারি থেকে বাঁচাতে গত সেপ্টেম্বরে কঙ্গো সরকার ও ডব্লিউএইচও যৌথভাবে দেশজুড়ে একটি জরুরি টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে। কিন্তু দুর্বল অবকাঠামো, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জঙ্গি হামলা ও নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা না থাকায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে হাম। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতকরা।

হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ। প্রতিরোধযোগ্য হলেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে হামে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। সাধারণত নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি ও তীব্র জ্বর এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। তবে পরবর্তীতে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গড়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
৩৪৩ Time View

মহামারি হামে আফ্রিকার কঙ্গোতে ৫০০০ মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে মহামারি আকার ধারণ করেছে ভাইরাসজনিত রোগ হাম। চলতি বছর দেশটিতে হামে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যেকটি প্রদেশের এখন এই মহামারির সঙ্গে লড়ছে। চলতি বছর দেশটির প্রায় আড়াই লাখ মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটি মহামারি হলো হাম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে বিগত ১৫ মাসে ইবোলার তুলনায় দ্বিগুণের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই যথেষ্ট নয়। কঙ্গোতে মোট শিশুর সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ। তবে পর্যাপ্ত টিকার ঘাটতিও দেখা দেয়ায় সব শিশুকে মহামারি হাম থেকে বাঁচাতে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি বলে দাবি দেশটির সরকারের।

শিশুদের এই মহামারি থেকে বাঁচাতে গত সেপ্টেম্বরে কঙ্গো সরকার ও ডব্লিউএইচও যৌথভাবে দেশজুড়ে একটি জরুরি টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে। কিন্তু দুর্বল অবকাঠামো, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জঙ্গি হামলা ও নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা না থাকায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে হাম। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতকরা।

হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ। প্রতিরোধযোগ্য হলেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে হামে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। সাধারণত নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি ও তীব্র জ্বর এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। তবে পরবর্তীতে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে গড়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।