ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাসমাবেশের আগেই আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে চান এরশাদ

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ  আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি। আর এ মহাসমাবেশের আগেই একক বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেভাবেই নির্বাচনে জাপা অংশ নিক না কেন তার তালিকা চূড়ান্ত করতে চান পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ তালিকা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে একক ক্ষমতা দিয়েছেন। এরশাদ মনে করেন তার পার্টির তালিকা থেকে কাদের সরকার ছাড় দেবে সেটি চূড়ান্ত করার এখনই সময়। এতে দুই পক্ষেরই সুবিধা। গতকাল দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথ সভায় উপস্থিত নেতারা পার্টির চেয়ারম্যানকে এসব বিষয়ে ক্ষমতা প্রদান করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানতে চাইলে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের বেশি সময় না থাকায় তাড়াতাড়ি প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের আগে আমাদের ছাড় দেওয়া আসনে যেন নৌকার কোনো ডামি বা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি মিডিয়ায় রওশন ও এরশাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশিত নিউজ প্রসঙ্গে বলেন, এ দ্বন্দ্ব থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাছাড়া আমি নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা কোনো তালিকাও দেইনি। সভায় ২০ তারিখের মহাসমাবেশের অর্থ জোগান দিতে পার্টির  প্রেসিডিয়াম সদস্যদের ১ লাখ এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। একক অথবা জোটগত নির্বাচন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক না আসুক আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা ৩০০ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিএনপি কী করছে, কী কর্মসূচি দিচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আগামী নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমাদের ভালো ফলাফল আনতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য— ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি প্রমুখ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮
৯৫১ Time View

মহাসমাবেশের আগেই আসন বণ্টন চূড়ান্ত করতে চান এরশাদ

আপডেট সময় : ০২:১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ  আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি। আর এ মহাসমাবেশের আগেই একক বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেভাবেই নির্বাচনে জাপা অংশ নিক না কেন তার তালিকা চূড়ান্ত করতে চান পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ তালিকা চূড়ান্ত করার দায়িত্ব পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে একক ক্ষমতা দিয়েছেন। এরশাদ মনে করেন তার পার্টির তালিকা থেকে কাদের সরকার ছাড় দেবে সেটি চূড়ান্ত করার এখনই সময়। এতে দুই পক্ষেরই সুবিধা। গতকাল দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও এমপিদের যৌথ সভায় উপস্থিত নেতারা পার্টির চেয়ারম্যানকে এসব বিষয়ে ক্ষমতা প্রদান করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানতে চাইলে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের বেশি সময় না থাকায় তাড়াতাড়ি প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের আগে আমাদের ছাড় দেওয়া আসনে যেন নৌকার কোনো ডামি বা বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি মিডিয়ায় রওশন ও এরশাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশিত নিউজ প্রসঙ্গে বলেন, এ দ্বন্দ্ব থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাছাড়া আমি নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আলাদা কোনো তালিকাও দেইনি। সভায় ২০ তারিখের মহাসমাবেশের অর্থ জোগান দিতে পার্টির  প্রেসিডিয়াম সদস্যদের ১ লাখ এবং দলীয় সংসদ সদস্যদের ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। একক অথবা জোটগত নির্বাচন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক না আসুক আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা ৩০০ আসনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বিএনপি কী করছে, কী কর্মসূচি দিচ্ছে তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আগামী নির্বাচনে যেভাবেই হোক আমাদের ভালো ফলাফল আনতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য— ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি প্রমুখ।