ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা

 

ঝিনাইদহের মহেশপুরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ম্যুরাল ও ছবি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বিকেল ৩ টার দিকে প্রথমে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

এ সময় সেখানে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত ভারতে অবস্থানে থেকে গত রাতে শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান প্রতিবাদের মাঝে মহেশপুর শহরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি থেকে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়। এছাড়া হাসপাতাল রোড এলাকায়ও শেখ মুজিবের ম্যুরালটি ভাঙ্গা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গণহত্যার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামী লীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না। এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল। তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জোড়ে দিয়েছিলে। আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার মাধ্যমে মুজিববাদের কবর রচিত হলো।’

এরপর মহেশপুর থানার সামনে অবস্থিত আওয়ামী লীগের উপজেলা অফিসে শেখ হাসিনার নামফলকও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এসব স্থাপনা গত বছর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা ভাঙচুর করা হলেও শুক্রবার পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়ে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসান বলেন, ‘শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে তার ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় মহেশপুরে আমাদের এ কর্মসূচি। সারাদেশেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই কাজ করেছে।

উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটি সদস্য মো. মেহেদী মিরাজ, মো. ইমামুল হোসেন, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধির মেহেদী হাসান, মো. সম্রাট, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মো. হালিম বাদশাহ, তরিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
জনপ্রিয়

মহেশপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা

Update Time : ০৯:০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ম্যুরাল ও ছবি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বিকেল ৩ টার দিকে প্রথমে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এস্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

এ সময় সেখানে অংশ নেয়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত ভারতে অবস্থানে থেকে গত রাতে শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান প্রতিবাদের মাঝে মহেশপুর শহরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি থেকে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা হয়। এছাড়া হাসপাতাল রোড এলাকায়ও শেখ মুজিবের ম্যুরালটি ভাঙ্গা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গণহত্যার সাথে জড়িত ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামী লীগের কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে থাকতে পারে না। এদেশে স্বৈরাচার হাসিনা পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল। তাই দেশের বড় বড় স্থাপনায় নিজের পরিবারের নাম জোড়ে দিয়েছিলে। আজ বাংলাদেশের প্রথম ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙার মাধ্যমে মুজিববাদের কবর রচিত হলো।’

এরপর মহেশপুর থানার সামনে অবস্থিত আওয়ামী লীগের উপজেলা অফিসে শেখ হাসিনার নামফলকও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এসব স্থাপনা গত বছর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা ভাঙচুর করা হলেও শুক্রবার পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়ে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাহিদ হাসান বলেন, ‘শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে তার ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় মহেশপুরে আমাদের এ কর্মসূচি। সারাদেশেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই কাজ করেছে।

উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটি সদস্য মো. মেহেদী মিরাজ, মো. ইমামুল হোসেন, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধির মেহেদী হাসান, মো. সম্রাট, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মো. হালিম বাদশাহ, তরিকুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।

সবুজদেশ/এসইউ