ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে সেবা গ্রহীতারা

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় হাঁটু পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। হাঁটু পানি ভেঙেই আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্যালয়ের সামনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার কারণ। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা বিভিন্ন অনুদান নিতে আসা নারী, বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের পানির ভেতর দিয়েই অফিসে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

সেবা নিতে আসা মজিবর রহমান নামের এক প্রবীণ বলেন, ‘‘বয়স হয়েছে, ঠিকমতো হাঁটতেই পারি না। এর মধ্যে হাঁটু পানি পেরিয়ে ভেতরে যাওয়া খুব কষ্টকর। সরকার আমাদের সেবা দিতে গিয়ে যেখানে আরও সহজ করে দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো ভোগান্তি বাড়ছে।

একই অভিযোগ করলেন জলি খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘ভাতার কাগজ জমা দিতে এসেছিলাম। বৃষ্টির পর চারপাশে কাদামাটি আর পানি। গা কাপড় ভিজে গেছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ড্রেনেজ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।

সবুজদেশ/এসইউ

মহেশপুরে সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে সেবা গ্রহীতারা

Update Time : ১১:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় হাঁটু পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। হাঁটু পানি ভেঙেই আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্যালয়ের সামনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার কারণ। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা বিভিন্ন অনুদান নিতে আসা নারী, বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের পানির ভেতর দিয়েই অফিসে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

সেবা নিতে আসা মজিবর রহমান নামের এক প্রবীণ বলেন, ‘‘বয়স হয়েছে, ঠিকমতো হাঁটতেই পারি না। এর মধ্যে হাঁটু পানি পেরিয়ে ভেতরে যাওয়া খুব কষ্টকর। সরকার আমাদের সেবা দিতে গিয়ে যেখানে আরও সহজ করে দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো ভোগান্তি বাড়ছে।

একই অভিযোগ করলেন জলি খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘ভাতার কাগজ জমা দিতে এসেছিলাম। বৃষ্টির পর চারপাশে কাদামাটি আর পানি। গা কাপড় ভিজে গেছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ড্রেনেজ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।

সবুজদেশ/এসইউ