ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাকে হত্যার অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ১২৭ Time View

সাতক্ষীরাঃ

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আয়েশা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আশাশুনির ফকরাবাদ গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আয়েশা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে বালিশচাঁপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এতে নিহতের ছেলে রমজান আলী (৩২) ও পুত্রবধূ মিনারা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আয়েশা খাতুন ফকরাবাদ গ্রামের মৃত আক্কাস মোল্যার স্ত্রী।

নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা খাতুন জানান, আক্কাছ মোল্যার মৃত্যুর পর থেকে আয়েশা খাতুন ছেলের সংসারে থাকতেন। খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রায়ই পুত্রবধূ তাকে বকাঝকা ও মারপিট করতেন। বুধবার সকালে ছেলে রমজান ও পুত্রবধূ মিনারা খাতুন তাকে প্রথমে বকাঝকা ও পরে মারপিট করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, গণ্ডগোলের এক পর্যায়ে তারা বালিশচাপা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশী শিল্পী খাতুনসহ অন্যরা এগিয়ে এসে ওড়ানা কেটে তাকে আঁড়া থেকে নামান। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হলে তিনি পরীক্ষা করে আয়েশাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলাম জানান, ছেলে ও ছেলের বউয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন আমার বোন। বোনকে হত্যা করে আঁড়ায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, আমরাতো সেটা দেখিনি। তবে বোনের মৃত্যুর সংবাদে ভাগনে পালিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে পাশের রামনগর গ্রাম থেকে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :