ঢাকা ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে।

 

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের তরফ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

জানা গেছে, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষককে অপহরণ ও চাঁদা আদায়ের গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক ফয়জুর রহমান গত ১৮ এপ্রিল মাগুরার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ১২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলের নির্দেশে গত ৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে শিক্ষক ফয়জুর রহমানের স্ত্রী শামীম লাকনুর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার একটি চেক আদায় করেন আলামিন ও রাজ্জাক। পরে তারা সেই টাকা মুন্সী সোহেলের হাতে তুলে দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ফয়জুর রহমান বলেন, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেল ও তার সহযোগীরা আগেও আমার এলাকায় চাঁদাবাজি করেছিলেন। আমি তখন বিষয়টি বিএনপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা আমার ওপর ক্ষীপ্ত হন। পরে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা না দিলে এলাকায় আমার বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে—হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জের ধরে তারা গত ৭ এপ্রিল বিকেলে আমাকে মোবাইলফোনে কল করে ডেকে নিয়ে তাদের অফিসে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। পরে আমার স্ত্রী বাধ্য হয়ে ১ লাখ টাকা দেন। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি।

সবুজদেশ/এসইউ

কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মাগুরায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

Update Time : ০৯:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের তরফ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

জানা গেছে, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষককে অপহরণ ও চাঁদা আদায়ের গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক ফয়জুর রহমান গত ১৮ এপ্রিল মাগুরার শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ১২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেলের নির্দেশে গত ৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে শিক্ষক ফয়জুর রহমানের স্ত্রী শামীম লাকনুর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার একটি চেক আদায় করেন আলামিন ও রাজ্জাক। পরে তারা সেই টাকা মুন্সী সোহেলের হাতে তুলে দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ফয়জুর রহমান বলেন, মুন্সী ইয়াসিন আলী সোহেল ও তার সহযোগীরা আগেও আমার এলাকায় চাঁদাবাজি করেছিলেন। আমি তখন বিষয়টি বিএনপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা আমার ওপর ক্ষীপ্ত হন। পরে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা না দিলে এলাকায় আমার বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে—হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জের ধরে তারা গত ৭ এপ্রিল বিকেলে আমাকে মোবাইলফোনে কল করে ডেকে নিয়ে তাদের অফিসে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। পরে আমার স্ত্রী বাধ্য হয়ে ১ লাখ টাকা দেন। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি।

সবুজদেশ/এসইউ