ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় যুবককে গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দিল দম্পতি

Reporter Name

ফাইল ফটো

মাগুরাঃ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় পিকুল বিশ্বাস (৩৬) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দিয়েছে এক দম্পতি।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- একই এলাকার চরমহেশপুর গ্রামের কাজী মোশারোফ হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।

মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান যুগান্তরকে জানান, গত ২ মার্চ শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে গাজীপুরে কাশিমপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়ান যান পিকুল বিশ্বাস।

পরদিন তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। ৭ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়-৩ মার্চ পিকুল শ্রীপুরে আসেন এবং পিকুলের সঙ্গে তার বাড়ির পাশের গ্রাম চরমহেশপুরের রাজিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কথা হয়।

ওই মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে রাজিয়া সুলতানা ও তার প্রবাসী স্বামী কাজী মোশারোফ হোসেনকে শুক্রবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন ৩ মার্চ পিকুলকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই রাতে দুধের সঙ্গে একাধিক ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ানোর পরে পিকুল অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলপাড়ে গর্ত করে পিকুলকে মাটিচাপা দেয়া হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোশারোফ হোসেনের চরমহেশপুর গ্রামের বাড়ির কলপাড়ের পাশ থেকে পিকুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, প্রবাসী কাজী মোশারোফ হোসেনের স্ত্রীর রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে পিকুলকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ মাটিচাপা দেয় ওই দম্পতি।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
২৬১ Time View

মাগুরায় যুবককে গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দিল দম্পতি

আপডেট সময় : ১১:০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

মাগুরাঃ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় পিকুল বিশ্বাস (৩৬) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দিয়েছে এক দম্পতি।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- একই এলাকার চরমহেশপুর গ্রামের কাজী মোশারোফ হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।

মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান যুগান্তরকে জানান, গত ২ মার্চ শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে গাজীপুরে কাশিমপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়ান যান পিকুল বিশ্বাস।

পরদিন তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। ৭ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়-৩ মার্চ পিকুল শ্রীপুরে আসেন এবং পিকুলের সঙ্গে তার বাড়ির পাশের গ্রাম চরমহেশপুরের রাজিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কথা হয়।

ওই মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে রাজিয়া সুলতানা ও তার প্রবাসী স্বামী কাজী মোশারোফ হোসেনকে শুক্রবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন ৩ মার্চ পিকুলকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। ওই রাতে দুধের সঙ্গে একাধিক ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ানোর পরে পিকুল অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলপাড়ে গর্ত করে পিকুলকে মাটিচাপা দেয়া হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোশারোফ হোসেনের চরমহেশপুর গ্রামের বাড়ির কলপাড়ের পাশ থেকে পিকুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, প্রবাসী কাজী মোশারোফ হোসেনের স্ত্রীর রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে পিকুলকে হত্যা করে। এরপর তার লাশ মাটিচাপা দেয় ওই দম্পতি।