ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাটি না পেয়ে ইটের তৈরি কবরে শায়িত হলেন যুবক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
  • ৪২৯ বার পড়া হয়েছে।

কবরের চারপাশে অথৈ পানি।

সাতক্ষীরাঃ

চারদিকে অথৈ পানি আর পানি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে লোনা পানিতে ডুবে আছে সাতক্ষীরার দক্ষিণ উপকূল। রাস্তা নেই, ঘাট নেই, নিচু বাড়িঘরও টিকে থাকেনি। ডুবে গেছে সব মাছের ঘের, ফসলি ক্ষেতও। মানুষের মৃত্যুর পর তাকে কবর দেওয়ার জায়গাটুকুও নেই। একইভাবে পানিতে ভেসে গেছে শ্মশানও।

এরই মাঝে হঠাৎ খবর এলো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রতাপনগর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) নামে এক যুবক। 

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকা মাহমুদুল মারা যান বৃহস্পতিবার রাতে তার কর্মস্থলে। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কোথাও এতটুকু মাটি নেই। উঁচু জায়গাও নেই। কোথায় তার কবর হবে? 

জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কাছেই ভাঙাচোরা বেড়িবাঁধের ওপর

শেষ পর্যন্ত তার স্থান হলো স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহর বাড়ির সামনে পানিতে ডোবা কিছুটা উঁচু স্থানে। 

স্বজনরা সেখানেই ইট দিয়ে খানিকটা চৌবাচ্চার মতো তৈরি করে মাহমুদুল আলমকে চিরশায়িত করেন। এর আগে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কাছেই ভাঙাচোরা বেড়িবাঁধের ওপর। 

শুক্রবার এ ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। মৃত্যুর পরও তার জন্য এতটুকু মাটি জোটেনি ভয়াল ইয়াসের দাপটে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

মাটি না পেয়ে ইটের তৈরি কবরে শায়িত হলেন যুবক

Update Time : ০৮:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১

সাতক্ষীরাঃ

চারদিকে অথৈ পানি আর পানি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে লোনা পানিতে ডুবে আছে সাতক্ষীরার দক্ষিণ উপকূল। রাস্তা নেই, ঘাট নেই, নিচু বাড়িঘরও টিকে থাকেনি। ডুবে গেছে সব মাছের ঘের, ফসলি ক্ষেতও। মানুষের মৃত্যুর পর তাকে কবর দেওয়ার জায়গাটুকুও নেই। একইভাবে পানিতে ভেসে গেছে শ্মশানও।

এরই মাঝে হঠাৎ খবর এলো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রতাপনগর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) নামে এক যুবক। 

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকা মাহমুদুল মারা যান বৃহস্পতিবার রাতে তার কর্মস্থলে। তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কোথাও এতটুকু মাটি নেই। উঁচু জায়গাও নেই। কোথায় তার কবর হবে? 

জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কাছেই ভাঙাচোরা বেড়িবাঁধের ওপর

শেষ পর্যন্ত তার স্থান হলো স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহর বাড়ির সামনে পানিতে ডোবা কিছুটা উঁচু স্থানে। 

স্বজনরা সেখানেই ইট দিয়ে খানিকটা চৌবাচ্চার মতো তৈরি করে মাহমুদুল আলমকে চিরশায়িত করেন। এর আগে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কাছেই ভাঙাচোরা বেড়িবাঁধের ওপর। 

শুক্রবার এ ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। মৃত্যুর পরও তার জন্য এতটুকু মাটি জোটেনি ভয়াল ইয়াসের দাপটে।

সবুজদেশ/এসইউ