রোববার রাজধানীতে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই বিশেষ কারাগার স্থাপনের প্রস্তাব দেন তিনি।
র্যাবপ্রধান বলেন, “আমার মনে হয় স্পেশাল জেল করতে হবে। সেটা টেম্পোরারি হোক আর যাই হোক। কারণ মাদকের আসামিদের আলাদা জেলে নিতে হবে।
“বঙ্গোপসাগরে একটা দ্বীপ আইডেন্টিফাই করা যেতে পারে বা বিচ্ছিন্ন কোনো এলাকা..যেখানে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ আসামি রাখা যাবে। এ ব্যবস্থা করা দরকার।”
মাদকের মামলার দ্রুত বিচারের ওপরও জোর দেন তিনি।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনরোধে প্রণীত অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় প্রতি রাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ নিহত হওয়ার খবর দিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এসব ঘটনায়।
র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৫ জন নিহত এবং ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান বেনজীর আহমেদ।
মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান একটি সার্বিক সংগ্রাম উল্লেখ করে বেনজীর বলেন, “আমাদের দেশে মুশকিল হচ্ছে যে, কোনো কিছু শুরু এক শ্রেণির মানুষ চিৎকার শুরু করে। তারা কেন এটা করে আমি জানি না। এটা করে তারা কি পেতে চায়?
“জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ও রাতের পর রাত টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দিয়ে তারা আলোচনা করেছিল যে, আমরা ভুল করছি, কিছুই জানিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তিনি দেশবাসীকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে যখনই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রত্যেকবার ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “এখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য- আমরা শুরু করেছি এবং তখনই আমরা বিভিন্ন ধরনের চিৎকার দেখেছি।চিৎকার করে লাভ নেই- আমরা বিজয়ী না হয়ে ফিরব না। এটি ১৬ কোটি মানুষের ডিমান্ড। সরকার, রাষ্ট্রের ও জনগণের ডিমান্ড।”
মাদকের ভয়াবহতা রোধে প্রয়োজনে কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ক্যাম্প স্থাপন করা হবে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহম্মদ নিজেদেরর জনবলের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ বলেন, সারা দেশে সাড়ে ৪০০ অপারেশনাল ফোর্সসহ মোট জনবল প্রায় ১৭০০। আর যানবাহন রয়েছে ৫১টি।
তবে সরকার আরও ৫০টি যানবাহন এবং জনবল আট হাজারে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।