মাদক মামলায় পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ঢাকা:
দেশীয় চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এটি দাখিল করেন তিনি।
পরীমণি একা নন, মোট তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। অপর দুই অভিযুক্ত হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরীমণির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর দুই দিন আগে আদালতে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি পুলিশ দুটি জব্দ তালিকার মোট ১৬টি আলামত পরীমণিকে ফিরিয়ে দিতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, যদি পরীমণিকে তার জব্দকৃত আলামত ও মালামাল ফেরত দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনও বিঘ্ন ঘটবে না।
পরীমণির ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি গাড়ি ও মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দকৃত কিছু জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আইনজীবীরা আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত ৫০ হাজার টাকার মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুই দিন এবং ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। তিন দফায় পরীমণিকে মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চারঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানান র্যাব সদস্যরা। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।