ফাইল ছবি

ঢাকাঃ

করোনা ভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ পরিস্থিতিতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হচ্ছে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদনের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। আর স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ৩০ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে লটারি পরিচালনা করা হবে। এদিকে ভর্তির আবেদন ফি কিছুটা কমিয়ে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও বিভাগ সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এভাবেই হাইস্কুলে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। অধিদপ্তরের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

অধিদপ্তর থেকে ভর্তির আবেদনের সময়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে। তখন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোও ও সরকারি বিদ্যালয়গুলোর বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি হাইস্কুলে ভর্তির আবেদন অনলাইনে গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর ৩০ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির আবেদন ফি ১১০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে। এগুলোতে শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়।

এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এত দিন একজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।

জানা গেছে, টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর সব কটি সরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন অনলাইনে করতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনেই লটারির কাজটি হবে, এতে সময় কম লাগবে। তাই ৩০ ডিসেম্বর এক দিনেই সব কটি বিদ্যালয়ের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নির্বাচিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ১১০টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। আবেদর ফি কিছুটা কমেছে। আগে এ ফি ছিল ১৭০টাকা।

গত ২৫ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণির মতো সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বসবাসরত (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) শিক্ষার্থীদের। এত দিন ঢাকা মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত আশপাশের এলাকা থেকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here