প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। যদি মানুষ আমাদের ভোট দেয়, আমরা আবারও ক্ষমতায় আসব। আর যদি তারা ভোট না দেয়, আমরা ক্ষমতায় থাকব না।’

আজ শনিবার কৃষি ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজকের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে তাঁর সরকার সক্ষম হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর সুবিধা ভোগ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমরা মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এটি এখন ৫ দশমিক ৪ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আমাদের অর্থনীতি এখন শক্তিশালী, যেহেতু আমরা ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছি। এখন তৃণমূলের সাধারণ মানুষ এসবের সুবিধা ভোগ করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অগ্রগতির জন্য বড়, মাঝারি ও ছোটমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমরা এখন সেই কর্মসূচিগুলোর সাথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সরকার দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশ এখন সবজি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম, আলুতে অষ্টম, আমে সপ্তম এবং মাছ উৎপাদনে তৃতীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন পুরোপুরি আত্মনির্ভরশীল। আমরা এখন আমাদের পণ্যের মান বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেও যেতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। স্থানীয় বাজার প্রসারিত হচ্ছে। আমরা দেশের মধ্যে আমাদের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিক্রি করতে পারি। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছে। গবেষণার মাধ্যমে, সরকার চাল, মাছ ও সবজি উৎপাদন উন্নত করেছে। সরকার কৃষি-সংশ্লিষ্ট সব সুবিধা এবং বিনিয়োগে কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।

কেআইবির সভাপতি এ এম এম সালেহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন কেআইবির মহাসচিব মো. খায়রুল আলম।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here